বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্পকে ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লিতে ইউনেস্কো ২০০৩ কনভেনশনের ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদের সভাপতি খন্দকার এম তালহা বলেন, টাঙ্গাইলের শতবর্ষী তাঁতশিল্পের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান। এই অর্জন দেশের সব তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করা হলো।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। এর আগে পাওয়া অন্য পাঁচটি স্বীকৃতি হলো- বাউল সংগীত (২০০৮), জামদানি বুনন (২০১৩), পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা (২০১৬), শীতল পাটি (২০১৭) ও রিকশা পেইন্টিং (২০২৩)।
চলতি বছরের এপ্রিলে প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দেয় বাংলাদেশ দূতাবাস। মূল্যায়ন কমিটির সব ধাপ পেরিয়ে নথিটি অনুমোদনের জন্য পর্ষদের সামনে তোলা হয়। কারিগরিভাবে জটিল এমন নথি বাংলাদেশ নিজস্ব ব্যবস্থায় তৈরি করে এবং সেটি উচ্চমানসম্পন্ন হিসেবে বিবেচিত হয়।
এর আগে ২০২৩ সালে ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে ঘোষণা করে। পরে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। বেষকদের মতে, ইউনেস্কোর এই নতুন স্বীকৃতি সেই বিতর্কের বড় অংশের সমাধান এনে দিল।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দুই দেশেরই নারীদের জন্য গর্বের। শাড়ি যেমন ভারত-বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে সমানভাবে জনপ্রিয়, তেমনি এই নিবন্ধনও দুই দেশের শাড়িপ্রেমীদের সম্মান বাড়াবে।
২০২২ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে জিতে বাংলাদেশ ইউনেস্কো ২০০৩ কনভেনশনের আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সদস্য হয় চার বছরের জন্য। এরই ধারাবাহিকতায়, রিকশা ও রিকশাচিত্র ১৮তম সভায় স্বীকৃতি পায়।
আরডি