কক্সবাজারে চতুর্থ টি–টোয়েন্টিতে ক্যাচ মিসের মহড়া দিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ নারী ক্রিকেট দল। এর খেসারত দিতে হলো ছয় উইকেটের হারে। জয় পেয়ে সিরিজে ২–২ ব্যবধানে সমতা ফিরিয়েছে পাকিস্তান।
বুধবার (১০ নভেম্বর) টস জিতে ফিল্ডিং নেয় পাকিস্তান। ব্যাট করতে নেমে ১৮ বলে ২২ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার। সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা ২১ বলে ২০ রান করে ফেরেন সাজঘরে। অপর ওপেনার সাদিয়া নুসরাতও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
এরপর থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক সাদিয়া ইসলামও। ১০ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি। তবে মাঝের সারিতে ভরসা জোগান জান্নাত সূচনা ও মায়মুনা নাহার। তাদের ৪২ বলে ৪৮ রানের জুটি দলকে সামাল দেয়। ৩৫ রান করে সূচনা সাজঘরে ফেরেন, মায়মুনা করেন ২৪ রান।
নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ মেয়েরা ৭ উইকেটে হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তোলেন ১২৬ রান। পাকিস্তানের হয়ে রোজিনা আকরাম ও মেমুনা খালিদ নেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে দুর্দান্ত শুরু করে পাকিস্তান। ১৭ বলে ৩৩ রানের উদ্বোধনী জুটিতে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। হাবিবা ইসলাম পিংকি ভাঙেন প্রথম জুটি। এরপর জারিন তাসনিম লাবণ্য দুর্দান্ত স্পেল উপহার দেন—টানা দুই ওভারে তিন উইকেট তুলে নেন তিনি।
লাবণ্য আউট করেন রাভাইল ফারহান (১১ বলে ৪), জুফিশান আয়াজ এবং আরিশা আনসারিকে। দ্রুত চার উইকেট পড়ে ম্যাচে ফিরেও আসে বাংলাদেশ।
কিন্তু এরপরই ঘটে বিপর্যয়। ইমান নাসির ও ফাইজা ফাইয়াজের জুটি থামাতে গিয়ে ধারাবাহিকভাবে চলে যুবা টাইগ্রেসদের ক্যাচ মিসের মহড়া। ১৬তম ওভারে পরপর দুই বলে দুই ক্যাচ এরপর ১৭তম ওভারে আরও একটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেয় বাংলাদেশ। তিনবারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইমান–ফাইজা জুটি ম্যাচ বের করে আনেন।
১৮.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান, ছয় উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে। শেষ ম্যাচটি এখন অলিখিত ফাইনালে রুপ নিয়েছে।
আরডি