এইমাত্র
  • বিএনপির প্রার্থী পুনঃবিবেচনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
  • পিএসএলের কারণে পিছোতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর
  • ৩০ বছর পর রোগীর পেট থেকে বের হলো লাইটার
  • বার্সেলোনাকে কিনতে ১০ বিলিয়ন ইউরো’র প্রস্তাব সৌদি যুবরাজের
  • বিজয় দিবসে যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বলেছে ডিএমপি
  • সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শামীমের বাড়িতে শোকের মাতম
  • রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধার পর খুলে দেওয়া হবে স্মৃতিসৌধের প্রবেশদ্বার
  • হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল
  • কাজিপুরে মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • সিরাজগঞ্জে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    জাতীয়

    নভেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০৭ জন নিহত

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম

    নভেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০৭ জন নিহত

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
    সংগৃহীত ছবি

    সারাদেশে গত নভেম্বর মাসে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৫৭৭টি দুর্ঘটনায় ৫৫৩ জন নিহত হয়েছে। এছড়া আহত হয়েছেন আরও ৯০০ জন।

    সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সংঘটিত সাতটি দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হন এবং চারজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথ মিলিয়ে মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭৭টি।

    এই সময়ে সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ছিল উদ্বেগজনক। নভেম্বর মাসে ১৯৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০১ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মোট নিহতের ৪১ দশমিক ১০ শতাংশ এবং আহতের ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ।

    বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় ১৩২ জন নিহত এবং ২৫৭ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে ১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৯ জন।

    সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ জন সদস্য, ১১৩ জন চালক, ৯৭ জন পথচারী, ৪১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৫ জন শিক্ষার্থী, ১২ জন শিক্ষক, ৮০ জন নারী, ৬০ জন শিশু, ৫ জন চিকিৎসক, ৫ জন সাংবাদিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৬ জন নেতাকর্মীর পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৪ জন পুলিশ সদস্য, ১ জন র‍্যাব সদস্য, ১ জন সেনা সদস্য, ৫ জন চিকিৎসক, ১ জন সাংবাদিক, ১০৯ জন চালক, ৯৩ জন পথচারী, ৭১ জন নারী, ৫০ জন শিশু, ৪৩ জন শিক্ষার্থী, ১৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ১২ জন শিক্ষক এবং ৬ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে সংঘটিত দুর্ঘটনায় মোট ৭৪৬টি যানবাহনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৩ শতাংশ বাস, ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭ দশমিক ১০ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯ দশমিক ১১ শতাংশ নছিমন, করিমন, মাহিন্দ্রা, ট্রাক্টর ও লেগুনা এবং ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ কার, জিপ ও মাইক্রোবাস।

    দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনায় ঘটেছে। এছাড়া ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষে, ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ অন্যান্য কারণে, ০ দশমিক ৫৭ শতাংশ ওড়না চাকায় পেঁচিয়ে এবং ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষে ঘটে।

    সড়কের ধরন অনুযায়ী দুর্ঘটনার চিত্রে দেখা যায়, ৩৮ দশমিক ০২ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং ৩০ দশমিক ২২ শতাংশ ফিডার রোডে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রেলক্রসিংয়ে ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে গর্ত সৃষ্টি, মহাসড়কে অবাধে ঝুঁকিপূর্ণ যান চলাচল, রোড সাইন ও মার্কিংয়ের অভাব, মিডিয়ান না থাকা, নির্মাণ ও যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য, উল্টোপথে গাড়ি চালানো, চাঁদাবাজি, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং বেপরোয়া ও বিশ্রামহীনভাবে গাড়ি চালানো—এসবই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংগঠনটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার জোরদার, মহাসড়কে আলোকসজ্জা, দক্ষ চালক তৈরি, ডিজিটাল ফিটনেস ব্যবস্থা, সার্ভিস লেন ও ফুটপাত নির্মাণ, চাঁদাবাজি বন্ধ, রোড সাইন ও মার্কিং স্থাপন, সড়ক পরিবহন আইন ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ, আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন স্ক্র্যাপের সুপারিশ করেছে।

    এমআর-২

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…