এইমাত্র
  • মোবাইল-ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট প্রত্যাহার না করলে এনবিআর ঘেরাও
  • পররাষ্ট্রস‌চিবের দপ্তরে ভারতীয় হাইক‌মিশনারকে ডেকেছে সরকার
  • কালুখালীতে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন
  • ৫ দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল
  • প্রেম করে বিয়ে করেছেন সংগীতশিল্পী সাবরিনা পড়শী
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৭০৮ জন ক্রীড়াবিদ নিহত
  • রাতে মুখোমুখি হচ্ছে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ
  • সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না ইসি
  • পেশাদারিত্ব দিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে: অতিরিক্ত আইজি মতিউর
  • কিশোরগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নিহত
  • আজ রবিবার, ২৯ পৌষ, ১৪৩১ | ১২ জানুয়ারি, ২০২৫
    জাতীয়

    আ.লীগের আমলে করা এনআইডি আইন পর্যালোচনায় বৈঠকে ইসি

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৫ এএম

    আ.লীগের আমলে করা এনআইডি আইন পর্যালোচনায় বৈঠকে ইসি

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৫ এএম

    আওয়ামী লীগের করা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) আইন পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।

    ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এনআইডি কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করতে বিগত আওয়ামী সরকার ২০২৩ সালে একটি আইন করে। ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ শীর্ষক ওই আইনে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে না নেওয়া পর্যন্ত ইসির অধীনেই পরিচালনার কথা বলা হয়। সে মোতাবেক এখনো এনআইডি ইসির অধীনেই আছে।

    এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাসহ সুশীল সমাজ এবং দেশের সাধারণ মানুষ এই কার্যক্রমটি ইসির অধীনে রাখার দাবি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। তারা বলছেন, ২০২৩ সালের নতুন আইনটি বাতিল করা উচিত। অন্যথায় ওই আইন সংশোধন করে সুরক্ষা সেবা বিভাগের পরিবর্তে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার বিষয়টি যোগ করা উচিত।

    অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বারবার এনআইডি হস্তান্তরের বিরোধিতা করে এসেছেন।

    তিনি বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইসি থেকে সরকার কেন এনআইডি নিতে চায়, তা পরিষ্কার নয়। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এনআইডি চলে গেলে আগামীতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে। এই এনআইডির পেছনে এতগুলো বছর একটা সিস্টেম ডেভেলপ করেছে ইলেকশন কমিশন। এটা যদি আলাদা হয়ে যায়, তাহলে কোনো একসময়ে ইন ফিউচারে ভোটার লিস্ট নিয়ে কথা উঠবে। কারটা ঠিক? এনআইডি ঠিক নাকি ভোটার লিস্ট ঠিক? আলটিমেটলি এটা নিয়ে একটা গন্ডগোল হবে।

    এদিকে ইসি কর্মকর্তারাও এর বিরোধিতা করছেন। এছাড়া এনআইডি প্রকল্পের কয়েক হাজার লোকবলও এ নিয়ে আন্দোলন করছেন। তাদের মতে, এই কাজে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন দীর্ঘদিন সময় ব্যয় করে। এখন অন্যত্র এটি নিয়ে যাওয়া হলে নতুন করে অভিজ্ঞ লোকবল তৈরি করতে যেমন সরকারের অর্থের অপচয় হবে, তেমনি নাগরিক সেবায় ভোগান্তিও বাড়বে। আবার নাগরিকের তথ্যের নিরাপত্তার ঝুঁকিও বাড়বে।

    কমিশন সভায় আরও যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হব, বিশেষ এলাকায় (চট্টগ্রাম অঞ্চল) ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ তথ্য ফরম (ফরম-২ এর অতিরিক্ত তথ্য)’ ব্যবহার এবং আরেকটি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনবল কাঠামো ও সরঞ্জামাদি লনাগাদকরণের বিষয়ে আলোচনা।

    ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২১ নভেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পর এএমএস নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের এটি দ্বিতীয় বৈঠক। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছেন। রোববারের বৈঠকটিও সেজন্য ডাকা হয়েছে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…