এইমাত্র
  • সমন্বয়ক রাফিকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রব্বানীর
  • ছাদ ভেঙ্গে আহত বলিউড তারকা অর্জুন কাপুর
  • ‘টেসলা’র ধাক্কায় গুরুতর জখম অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন
  • 'পিনিক'র পোস্টারে খাঁচায় বন্দি চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী
  • সারা রাত শুটিং করতেও কষ্ট লাগে না: জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি
  • নিখোঁজের সাতদিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল যুবকের মরদেহ
  • ‘সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না’
  • কুষ্টিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৫
  • রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে: আমির খসরু
  • রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করে ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা
  • আজ রবিবার, ৫ মাঘ, ১৪৩১ | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    আন্দোলনে নিহত রিপন হত্যা মামলার বাদীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারনার অভিযোগ

    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১০ এএম
    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১০ এএম

    আন্দোলনে নিহত রিপন হত্যা মামলার বাদীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারনার অভিযোগ

    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১০ এএম

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া রিপন মিয়া হত্যা মামলার বাদী আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় ও চাদাঁবাজির অভিযোগ করেছেন নিহত রিপন মিয়ার স্ত্রী খাদিজা বেগম।

    শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নিরিবিলি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন খাদিজা বেগম।

    খাদিজা বেগম বলেন, রিপন মিয়া ঢাকায় সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতো। ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকার উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় রিপন মিয়া। পরেরদিন গ্রামের বাড়ি বাট্টাজোড় পানাতিয়া পাড়ায় তার লাশ দাফন করা হয়। এই ঘটনায় স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে মামলা করতে চান। কিন্তু খাদিজা বেগমকে কিছু না জানিয়েই ২৬ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন আকতার। মামলায় ক্ষমতাচুত্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,সহ নামীয় ১৮জন ও অজ্ঞাতনামা ২০০জনকে আসামী করা হয়। নামীয় ১৮ জনের মধ্যে বকশীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান ও সমাজসেবক হাজী আমানুল্লাহসহ বকশীগঞ্জের ১৩ জনকে মামলায় আসামী করা হয়।

    চাঁদাবাজি করার জন্যই সে মামলার বাদী হয়েছে দাবি করে খাদিজা বেগম বলেন, রিপন হত্যা মামলার সাথে বকশীগঞ্জের কোন মানুষ জড়িত না। কারন সে মারা গেছে ঢাকার উত্তরায়। লাশকে পুজিঁ করে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য ও চাদাঁবাজি করেছে। মামলায় জড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্তত দুই শতাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়েছে।

    ৫ আগস্টের আগে আকতার পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতো একটি কুড়েঘরে। মানুষের কাছে হাত পেতে চলতো তার সংসার। কয়েক মাসের ব্যবধানে আকতার হোসেন লাখপতি বনে গেছেন। পাকা বিল্ডিং করেছে। দামী দামী আসবাবপত্র ও নতুন মোটরসাইকেল কিনেছে সে। এছাড়াও সে প্রতিদিন তার ফেইসবুকে একেকজনের ছবি পোষ্ট করে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য।

    মূলত সমাজের ধনী শ্রেণীর মানুষদের টার্গেট করে সে। পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগাযোগ করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে মামলায় আসামী করার হুমকি দেয়। সরকারি বেসরকারি কয়েক লাখ টাকা অনুদান পেয়ে আত্মসাত করেছেন চাদাঁবাজ আকতার। মৃত্যুর এক মাস পরেই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তাকে। গার্মেন্টেসে চাকুরী করে জীবন যাপন করছি।আকতারের চাদাঁবাজি বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রধান উপদেষ্ঠাসহ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

    এ বিষয়ে মামলার বাদী আকতার হোসেন বলেন,তার বিরুদ্ধে আনিত নিহত রিপনের স্ত্রী খাদিজা বেগমের আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…