মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটে এলাকায় সিটি হাসপাতাল চলছে ঝুকিপূর্ণ ভবনে। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কার করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর পৌরসভার টেকেরহাট এক নম্বর ব্রিজ এলাকার মহাসড়কের পাশের একটি পুকুর ভরাট করে ৬তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে এই ভবনেই সিটি হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করেন। কার্যক্রম শুরু করার পরেই ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটল। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবী, হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র ছাড়াই চলছে। তবে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবী ষড়যন্ত্র করে কেউ কেউ মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ওমর শেখ বলেন, যেখানে হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে ওখানে আগে পুকুর ছিলো। পুকুর ভরাট করেই হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিটি হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে। তবে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র না থাকায় লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।
রাজৈর পৌরসভার সচিব ইকরামুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মাটি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হলে ৬তলা ভবনের অনুমতি দেয়া যেতে পারে। তবে সিটি হাসপাতালের ভবন নির্মাণের অনুমতি আছে কিনা তা জানা নেই বলে জানান তিনি।
সিটি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুর রহমান আনিচ বলেন, ইটের গাথুনি পানি কম দিলে ফাটতেই পারে। আমার সম্পদ। আমার মাথা ব্যথা নেই ,অন্যদের মাথা ব্যথা? ফায়ার সার্ভিস, পৌরসভা সবকিছু দেখেই অনুমতি দিয়েছে। মানুষ শত্রুতা মূলকভাবে এসব মিথ্যা কথা বলছে।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনির আহম্মদ বলেন, যেসব শর্তসাপেক্ষে সরকার লাইসেন্স দিয়ে থাকে তা প্রতিপালন হচ্ছে কিনা তা আমরা পর্যাবেক্ষণ করি। যদি কোন বিঘ্ন করতে দেখি তাদের আমরা পরপর ৩টি নোটিস দেই। যদি সংশোধন না হয় তখন আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে বন্ধ করে দেই। উক্ত হাসপাতালটি লাইসেন্স নবায়নের পর্যায় আছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না।
এমআর