বরগুনার সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় নির্বিঘ্নে সব ধরনের দেশি-বিদেশি জাহাজ ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচলে সুবিধার্থে তালতলীতে একটি বিশ্রামাগার ও লাইট হাউজ স্থাপন করা হয়েছে। এতে যেকোনো দূর্যোগ হলে জেলেরা ট্রলার নিয়ে দ্রুত তীরে ফিরে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১ টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদী মোহনায় নির্মিত এ বিশ্রামাগার ও লাইট হাউজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উম্মে সালমা।
এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জাগোনারীর প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা হাসি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়াটারকিপার বাংলাদেশ তালতলী-আমতলীর সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি খাইরুল ইসলাম, তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হাইরাজ মাঝী, পায়রা নদী ইলিশ রক্ষা কমিটির সভাপতি শাহাজান শেখ প্রমুখ।
জানা যায়, বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার জেলেরা সাগর ও নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়েন। এ সময় দ্রুত সাগর মোহনায় উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে হয় তাদের। তবে জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ের ফিরতে বিশেষ করে রাত্রিকালীন সময়ে কোনো দিক নির্দেশনা না থাকায় বিপাকে পড়তে হত জেলেদের। এ কারণেই জেলেদের সুবিধার্থে তালতলীর তেতুল বাড়িয়া এলাকায় পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদী মোহনায় দি শেয়ার ট্রাস্টের অর্থায়নে এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের টেকনিক্যাল সহযোগিতায় সিবিডিপি এ বিশ্রামাগার ও লাইট হাউজটি বাস্তবায়ন করেন। এ ছাড়াও প্রকল্পটির সার্বিক সহযোগিতা করেন জাগোনারী, ঈশানা নারী ফাউন্ডেশন এবং রাখাইন সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (আরএসডিও)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়াটারকিপার বাংলাদেশ তালতলী-আমতলীর সমন্বয়ক আরিফুর রহমান বলেন, দিক নির্ণয়ের জন্য কোন রকম সিগন্যাল না থাকায় উপকূলীয় জেলারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো লাইট হাউজ স্থাপন করার। তিন নদীর মোহনায় একটি লাইট হাউজ ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করায় জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। জেলেরা যে কোনো সময় এখানে এসে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, লাইট হাউজটি নির্মাণের ফলে জেলেরা দ্রুত সময়ে উপকুলে ফিরে আসতে পারবেন। এ ছাড়াও লাউট হাউজের সঙ্গে একটি বিশ্রামাগার থাকায় জেলেরা সেখানে এসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। জেলেদের সুরক্ষায় ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এমআর