প্রতিযোগিতার এই যুগে শিশুদের চ্যালেঞ্জিং জীবনে শিশুদের পুষ্টি এবং খাবারের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের খাবার তাদের বিকাশে সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই শিশুদের পরীক্ষার সময় স্মৃতি বাড়ানো এবং মনোযোগ ধরে রাখতে উপকারী খাবারের আধিক্য শিশুদের সহযোগিতা করতে পারে।
কাঠবাদাম: কাঠবাদামে প্রচুর ভিটামিন ই ও স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং স্মৃতি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে একমুঠো কাঠবাদাম খেলে বেশ উপকারী নাস্তারও জোগান হয়; আবার শিশু সারাদিনের চঞ্চলতার শক্তিও পায়।
ডিম: ডিম হলো মস্তিষ্ক গঠনকারী আমিষ, ক্লোরিন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের উত্তম উৎস। ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাও থাকে। ধারণা করা হম সিদ্ধ ডিম খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে, স্ক্রাম্বল বা অমলেট হলেও সকালে রোজ শিশুদের ডিম খাওয়ানো উচিত।
ওটস: ওটস মূলত ফাইবার বা তন্ত সম্পন্ন খাবার। ফাইবার ধীরে ধীরে হজম হয় এবং শক্তিমাত্রা ধরে রাখে। এতে থাকা ভিটামিন বি এবং আয়রন মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন সকালে বাদাম ও তাজা ফল সহ একবাটি ওটস খাওয়া সারাদিনে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখে।
বাদাম: বাদাম এমন একটি খাবার যা উপকারী চর্বি, আমিষ এবং ভিটামিন বি৩ এ পরিপূর্ণ। বাচ্চাদের ভাজা বাদাম খেতে দিতে পারেন। অথবা পিনাট বাটারও রুটি বা শুধু খেতে দিন।
দুধ: ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং প্রোটিন থাকে দুধে। দুধ শুধু হাড় মজবুত করে না, বরং মস্তিষ্ক গঠন এবং শক্তি সরবরাহেও ভূমিকা রাখে। ফলে শিশুদের মনোযোগ, স্মৃতি এবং সার্বিক স্বার্থে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
কলা: কলা হলো তৎক্ষণাৎ শক্তির খোরাক জোগানো খাবার। কলাতে প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং পটাশিয়াম থাকে। প্রতিদিন সকালে কলা খেলে শিশুরা স্কুলে এবং সারাদিনের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি পায় এবং উৎফুল্ল থাকে।
এইচএ