এইমাত্র
  • এক মাস পর মাঠে ফিরছেন মুস্তাফিজ
  • পাকিস্তানে সশস্ত্র হামলা, ১৬ সেনা নিহত
  • অন্তবর্তীকালীন সরকার ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির
  • জাহাজ থেকে বিদেশে পালানো ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • সাবেক সমাজকল্যাণ সচিব ইসমাইল ২ দিনের রিমান্ডে
  • রাখাইনে জান্তার সেনা সদর দপ্তর দখল করলো আরাকান আর্মি
  • বড় খেলোয়াড়দের কূটকৌশল পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল করে: অর্থ উপদেষ্টা
  • আমাদের রান্না ঘরে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না: জামায়াত আমীর
  • চাঁদাবাজের তালিকা হচ্ছে, দুই-তিনদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার শুরু: ডিএমপি কমিশনার
  • ‘পরিবহন খাতে আগে একদল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, এখন অন্যদল জড়িত’
  • আজ শনিবার, ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
    ফিচার

    আজ বিশ্ব শাড়ি দিবস

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম

    আজ বিশ্ব শাড়ি দিবস

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম

    কথায় বলে, ‘শাড়িতে নারী’। বাঙালি নারীর নাকি আসল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে শাড়ি গায়ে জড়ালে। আপনি যদি একজন শাড়িপ্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের দিনটি আপনারই। আজ ২১ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক শাড়ি দিবস’।

    সৌন্দর্য, বহুমুখিতা এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত শাড়ি। বিশ্বের অন্যতম আইকনিক এবং চিরন্তন এই পোশাকটির প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশে দিবসটি পালিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশনের একটি গ্লোবাল চিহ্ন হিসেবে পরিণত হয়েছে শাড়ি।


    এই দিনটি আসলে শাড়ি উদযাপন করার জন্য। আমাদের চিরচেনা শাড়িকে বস্ত্র না বলে বিস্ময়বস্ত্রই বলতে হয় ৷ এ যেন এক টুকরো কাপড় নয়, বরং জীবনের গল্প বলা এক ক্যানভাস। কন্যা, জায়া, জননীরূপে ভূগোলকের এই দিকে শ্বাশত নারীরূপের প্রতীক হয়ে উঠেছে শাড়ি। নারীর শক্তিমত্তা আর আবেদনময়তা- দুটিরই অনন্য প্রকাশ ঘটে এই ৬ গজের বস্ত্রখন্ডে। প্রেয়সীকে শাড়িতে সবচেয়ে বেশি আরাধ্য মনে হয়। দেবীও শাড়ি পরেই অসুরনিধন করেন। মায়ের শাড়ির আঁচলের ঘ্রাণ পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় সুবাস সকলের। এই শাড়ির তৈরি কাঁথা প্রজন্মান্তরে আমাদেরকে জড়িয়ে রাখে ওম সহযোগে। যুগে যুগে শাড়ির প্রেমে মজেছেন সকলেই। যদিও কালের বিবর্তনে ব্যপক পরিবর্তন এসেছে শাড়ির ড্রেপিংয়ে। যুক্ত হয়েছে বৈচিত্র্যময় ব্লাউজ। কাঁচুলি, চোলি আর জ্যাকেট স্টাইল পেরিয়ে কোর্সেট,ব্রালেট, ট্যাংকটপ আর ক্রপটপ সঙ্গী হয়েছে শাড়ির। ৬ গজ থেকে ৯ গজ পর্যন্ত বেড়েছে এর দৈর্ঘ্য।

    বিশ্ব শাড়ি দিবসের উৎপত্তি

    বিশ্ব শাড়ি দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শাড়ির সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং এর বৈশ্বিক জনপ্রিয়তা প্রচার করার জন্য। যদিও এই দিনের সঠিক উৎপত্তি ব্যাপকভাবে ডকুমেন্ট করা হয়নি, তবে এটি শাড়ি প্রেমী এবং সাংস্কৃতিক সমর্থকদের দ্বারা তৈরি হয়েছে যারা এই পোশাকটির ঐতিহ্য এবং কারিগরি দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে চেয়েছিলেন। এই দিনটি পালন করার মাধ্যমে, মানুষকে শাড়ি পরিধান করতে, এর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে এবং এই পোশাকটি তৈরির ইতিহাস ও শিল্পকলার সঙ্গে পরিচিত হতে উৎসাহিত করা হয়।

    সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক শাড়ি

    শাড়ি কেবল একটি পোশাক নয়— এটি সংস্কৃতির সারবত্তা এবং ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রথাগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার নারীরা শাড়ি পরিধান করলেও, বিশ্বের অন্যান্য অংশেও পরিচিত একটি পোশাক। সাধারণত শাড়ি বলতে পাঁচ থেকে নয় গজ দীর্ঘ একটি কাপড়ের টুকরো বোঝানো হয় যা শরীরের চারপাশে বিভিন্ন রকমভাবে পরিধান করা হয়। স্থানীয় ও উৎসবের ভিত্তিতে এর পরিধান ধরন পরিবর্তিত হয়।

    শাড়ির সরলতা ও সৌন্দর্য একে দৈনন্দিন পোশাক এবং ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিধানযোগ্য করে তোলে, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বহুমুখী পোশাকগুলোর একটি করে তোলে। বিভিন্ন অঞ্চলের শাড়ি পরার নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। আবার শাড়ির কাপড়ের নানা ধরন রয়েছে। যেমন- সুতি, সিল্ক, মসলিন, জর্জেট, শিফন বা ক্রেপ। বিভিন্ন আবহাওয়া, উৎসব বা ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী শাড়ি পরিবর্তিত হতে পারে।

    বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নারীরা শাড়ি পরিধান করে থাকেন। স্থানীয় সীমানা পেরিয়ে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এই পোশাকটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। দক্ষিণ এশীয় না হওয়া অসংখ্য নারীরা বিশ্বব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানে শাড়ি পরিধান করে থাকেন। এটি একধরনের মাধুর্য এবং নারীত্বের প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।


    সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বের ডিজাইনাররা শাড়িকে আধুনিক রুচি অনুযায়ী পুনরায় ডিজাইন করেছেন। নতুন নতুন কাপড়, ডিজাইন এবং শাড়ি পরার পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন তারা। ফলে এটি তরুণ প্রজন্মের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঐতিহ্যবাহী এবং আধুনিক উপাদানের সংমিশ্রণে শাড়ি এখন একটি গ্লোবাল ফ্যাশন স্টেটমেন্ট, যা আন্তর্জাতিক রানওয়ে এবং রেড কার্পেটেও দেখা যায়। বছরের পর বছর ধরে তাই পোশাক হিসেবে রাজত্ব করে আসছে শাড়ি নামের পোশাকটি।

    বিশ্ব শাড়ি দিবসের গুরুত্ব

    শাড়ি যারা ভালোবাসেন তাদের জন্য আলাদা কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। তবুও বিশ্ব শাড়ি দিবস এমন একটি সুযোগ, যেখানে শাড়িপ্রেমীরা এই আইকনিক পোশাক তৈরির শিল্পকর্ম এবং কারিগরি দক্ষতাকে উদযাপন করতে পারেন। শাড়ি তৈরি করার জন্য কাপড় বোনা থেকে শুরু করে সূক্ষ্ম ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা, হাতে সেলাই করার প্রক্রিয়া সবকিছুই অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং দক্ষতার কাজ। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলের কারিগররা শতাব্দীজুড়ে শাড়ি বোনা এবং তৈরির ঐতিহ্যকে জীবিত রেখেছেন। তাদের জ্ঞান আর কৌশল প্রজন্মের পর প্রজন্মে উপহার দিচ্ছে নানা রঙের নানা ঢঙের শাড়ি।

    এই দিনটিতে, ব্যক্তি ও সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে শাড়ি পরিধান করে এবং তাদের বিভিন্ন স্টাইল ও কাপড় প্রদর্শন করে ঐতিহ্য উদযাপন করেন। এই দিনটি নারীদের শাড়ি শিল্পে অবদানও তুলে ধরতে সাহায্য করে। কারণ শাড়ি ডিজাইন, তৈরি এবং বিক্রিতে নারীরা বড় ভূমিকা পালন করে থাকেন।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…