রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজের পাঁচদিন পর হাসান নগরে নিজের কারখানার মাটির নিচ থেকে স্কিন প্রিন্ট কারখানার মালিক মো. আলমের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, গত ৫ ডিসেম্বর মো. আলম নিখোঁজ হন। পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজির পর কামরাঙ্গীরচর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এরপর তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মো. আলমের কারখানার ভেতরে কর্মচারীরা জুয়া খেলছিলেন। মালিক আলম তাতে বাধা দিলে এক পর্যায়ে কর্মচারীরা তাকে আঘাত করে হত্যা করেন। হত্যার পর তারা মরদেহ তিন টুকরো করে কারখানার মেঝেতে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে রাখে।
কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুর রহমান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কারখানার দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠানো হয়েছে হত্যার আলামত সংগ্রহের জন্য।
এই নির্মম ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই বলছেন, এমন ঘটনা এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
পুলিশ বলেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে।
এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা, যা সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের করুণ চিত্র তুলে ধরে। মো. আলমের পরিবার এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এসএফ