মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাবে বইছে প্রচণ্ড বাতাস। চলছে একটানা ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি কিংবা ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে বাড়ছে বাতাসের তীব্রতা। বৈরী আবহাওয়ায় স্থবিরতা বিরাজ করছে জনজীবনে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকে। এই সময় বৃষ্টিতে ভেজার কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে ঠান্ডার প্রবণতা বাড়তে পারে। এতে জ্বর, কাশি বা সর্দিতে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ সময় বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরের মতন প্রাণঘাতী রোগের প্রকোপ। গত কয়েক দিনে দু-হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। এডিস মশা এ রোগের বাহক। ডেঙ্গু জ্বর থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশের জলাধার, ফুলের টবে যেন বৃষ্টির পানি জমে না থাকে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বৃষ্টির দিনে শরীরে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণে হতে পারে জ্বর। তাই বৃষ্টির দিনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে বাইরে যাওয়ার সময়। বৃষ্টির দিনে বাইরে গেলে সঙ্গে নিতে হবে ছাতা, রেইনকোট। আবার কোনো কারণে বৃষ্টিতে ভিজলে, ঘরে ফিরে বৃষ্টির পানি মুছতে হবে। তা না হলে ঠান্ডা জমে গিয়ে জ্বর, কাশি, সর্দি হতে পারে।
এ ছাড়া বৃষ্টির দিনে রাস্তায় পানি জমে। রাস্তার এই পানিতে থাকে নানা রকমের জীবাণু। ফলে হতে পারে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ। রাস্তার এই পানি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃষ্টির দিনে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। আসুন জেনে নিন, সুস্থ থাকার কিছু উপায়:
১. জ্বর, কাশি, সর্দি হলে বিশ্রাম নিন।
২. প্রয়োজনে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করতে পারেন।
৩. এই সময় ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা খাবার সরাসরি খাবেন না।
৪. মৌসুমি ফল ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
৫. হালকা গরম পানিতে লেবু, মধু দিয়ে পান করতে পারেন।
ডেঙ্গু জ্বরে যা জানা খুবই প্রয়োজন
৬. নিতে পারেন গরম পানির ভাপ।
৭. এ ছাড়া আদা চা, মসলাযুক্ত চা পান করতে পারেন।
৮. বয়স্ক ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। বয়স্ক এবং শিশুদের বিষয়ে সতর্ক হন।
৯. বাড়ির আশপাশের জলাবদ্ধতা যতটুকু সম্ভব পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন।
১০. বেশি সমস্যা অনুভূত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এমআর