এইমাত্র
  • মাগুরায় বিএনপি নেতার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
  • আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ বাংলাদেশের
  • আ.লীগের নির্বাচনে আসা নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন বদিউল আলম
  • ‘মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা’
  • বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পেলেন হামজা চৌধুরী
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
    আপনার স্বাস্থ্য

    কোন উপসর্গ দেখলেই বুঝবেন ডেঙ্গু টেস্ট করা জরুরি?

    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ পিএম
    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ পিএম

    কোন উপসর্গ দেখলেই বুঝবেন ডেঙ্গু টেস্ট করা জরুরি?

    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ পিএম

    ডেঙ্গুর জ্বর নিয়ে অনেক মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মৃত্যুর সংখ্যা একেবারে কম নয়।

    কোন শরীরে কোন লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবেন যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী হতে পারে?

    সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। এর সাথে শরীরে ব্যথা মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র‍্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে।

    ডেঙ্গুর লক্ষণ/উপসর্গ

    ডেঙ্গু সাধারণত দু-ধরনের-ক্লাসিক্যাল এবং হেমোরেজিক। তবে বেশি তীব্র হলে সেটাকে ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’ বলে। সাধারণত ডেঙ্গু হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দেয়–

    ১। ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত প্রচণ্ড জ্বর এবং সেই সাথে হাড় ও শরীর ব্যথা থাকে।

    ২। তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। সেই সাথে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দিয়ে আবার জ্বর আসতে পারে।

    ৩। মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা হয়।

    ৪। জ্বর হওয়ার ৪-৫ দিন পর শরীরে লালচে র‍্যাশ দেখা যায়।

    ৫। বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং অত্যধিক পানি পিপাসা।

    ৬। খাবারে অরুচি এবং এর সাথে বমি বমি ভাব, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, মাঝে মাঝে খিচুনিও হতে পারে।

    ৭। অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধের মাঝে মাঝে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

    ৮। পানি আসার কারণে অনেক সময় পেট ফুলে যেতে পারে।

    ৯। গরমের সময় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে জ্বর দুদিন স্থায়ী হয়ে চলে যায়। বিবিসির একটি প্রতিবেদন বলছে, অনেক ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর জ্বর থাকে না। সে ক্ষেত্রে অন্য যে কোনো উপসর্গ দেখলেই ডেঙ্গু টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কি না।

    ১০। ডেঙ্গু জ্বরে অনেক রোগীর রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, বুকে পেটে পানি আসে, যকৃত আক্রান্ত হওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

    জ্বর হওয়ার কতদিনের মধ্যে কোন টেস্ট করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে?

    স্বাভাবিক জ্বর থেকে ডেঙ্গু জ্বরের পার্থক্য টানতে চিকিৎসকরা শুধু শরীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠা লক্ষণগুলোতেই নজর দেন না। কারণ, অনেক সময় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর শরীরে লক্ষণ স্পষ্ট হয় না। তাই ডেঙ্গু নির্ণয়ে কিছু টেস্ট করাতে দেন চিকিৎসকরা।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট হলো এনএসওয়ান। এই টেস্ট জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই করলে টেস্টের রেজাল্ট ভুল আসে। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, টেস্টের রিপোর্ট যাতে শতভাগ নির্ভুলের জন্য জ্বরের ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যে এ টেস্ট করতে হবে।

    আবার ৪ দিন ডেঙ্গু জ্বর পেরিয়ে গেলে এ পরিস্থিতিতে রোগীর এনএসওয়ান টেস্ট করা যাবে না। কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বরের ৪ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর এনএসওয়ান টেস্ট ভুল আসে।

    তাই রোগীর ডেঙ্গু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে করতে হবে আইজিজি ও আইজিএম। এ দুই টেস্টের মধ্যে রোগী আইজিজি টেস্ট না করলেও চলবে। তবে আইজিএম টেস্ট অবশ্যই করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইজিএম টেস্টেই ধরা পড়ে রোগীর ডেঙ্গু জ্বর।

    টেস্টে ডেঙ্গু নিশ্চিত হলে উদ্বিগ্ন না হয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল খাবার ও জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল অথবা নাপা খেতে দিন। ডেঙ্গু জ্বরে প্লাটিলেট কমে গেলে তা ভয়ের কারণ নয়। খেয়াল রাখুন, রক্তের প্লাটিলেট ১০,০০০-এর নিচে নেমে গেলে এবং সেই সঙ্গে রক্তপাত হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর সেবা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।

    ডেঙ্গু হলে কী করবেন:
    ১। বেশি পরিমান তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন: লেবুর শরবত, ফলের জুস, খাবার স্যালাইন।

    ২। সারাদিনে বিশুদ্ধ খাবার পানি ১২ থেকে ১৪ গ্লাস খেতে হবে।

    ৩। ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। মুখে তরল জাতীয় খাবার বা অন্যান্য খাবার যদি খেতে পারে এবং শারীরিক জটিলতা যদি দেখা না দেয় তাহলে বাসায় পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন।

    ৪। জ্বরের শেষের দিকে রক্তচাপ কমে যেতে পারে অথবা মাড়ি, নাক দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এক্ষেত্রে ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, হয়ত শিরাপথে স্যালাইন দেয়া লাগতে পারে। এসব ক্ষেত্রে তাই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

    ডেঙ্গু হলে কী করবেন না-

    ১। ঘরবাড়ি আশপাশ অপরিচ্ছন্ন রাখা যাবে না।

    ২। ফুলের টব কিংবা ফ্রিজে নিচে পানি জমাবেন না। প্রতি তিন দিন অন্তর অন্তর পানি ফেলে দিতে হবে।

    ৩। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন–জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না।

    এফএফ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…