পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের জায়গা আংশিক দখল করে ঘর নির্মানের ফলে চলাচলের রাস্তা সংকচিত হয়। রাস্তা উন্মুক্তের দাবী জানিয়ে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেন নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসদরের খলিফা পাড়া মহল্লার বেশ কজন ভুক্তভোগী। স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় সমস্যার সমাধান হলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে অভিযোগ প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন তারা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক সুত্রে জানা গেছে, গেল সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে খলিফাপাড়া মহল্লার ফারুক মোল্লা ও রশিদ সরদার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের যাতায়াতের রাস্তার মুখে ঘর নির্মানের ফলে কিছু মানুষের যাতায়াতের সামান্য সমস্যার সম্মুখিন হয়।
এমন বিষয়ে প্রতিকার পেতে তারা বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন। সম্প্রতি পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মশিউর রহমানের মধ্যাস্থতায় সমস্যার শান্তিপুর্ন সমাধানের আশ্বাসে ওই অভিযোগ প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন অভিযোগকারী মো. জয়নাল মুন্সি, জসিম মুন্সি, জাকির মুন্সি। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ প্রত্যাহারকারীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন কুদ্দুস মুন্সির ছেলে জয়নাল মুন্সি। তিনি জানান, তারা প্রতিবেশী খলিল মোল্লা, ইসলাম মোল্লা, ফারুক মোল্লা, রশিদ সরদারসহ বেশ ক’জনের নামে অভিযোগ করলেও সমস্যার সমাধান হওয়াতে ওই অভিযোগ প্রত্যাহার করছেন।
এসময় অভিযোগকারী,অভিযুক্তরা ছাড়াও আত্তাব সরদার, খিজির প্রামানিক, জলিল সরদার, রিজভি আহম্মেদ রাকিব, মোতাহার হোসেন, সকির মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত ফারুক মোল্লা বলেন, সাবেক পৌর মেয়র মশিউর রহমানের মধ্যাস্থতায় তারা অস্থায়ী ঘর সরিয়ে চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।অভিযোগকারীগন তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন। এতে শান্তিপুর্ন সমাধান হয়েছে।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, পাউবি’র বাঁধের জায়গায় ব্যাক্তিগত স্থাপনা তৈরীর সুযোগ নেই। কেউ স্ব-উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিলে ভালো। না হলে স্থাপনা উচ্ছেদে নোটিশ শেষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআর