এইমাত্র
  • দুই দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত হবে: সারজিস-হাসনাত
  • প্রধান উপদেষ্টার পিএস হলেন কূটনীতিক মোজাম্মেল হক
  • বঙ্গভবনের সামনে এক শিক্ষার্থীসহ চারজন গুলিবিদ্ধ
  • ভারতে ৪১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
  • আবারও মাদক নিচ্ছেন, প্রাক্তন স্ত্রীর দাবির পর মুখ খুললেন নোবেল
  • বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের বস্তার আঘাতে ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু
  • প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
  • অপরাধ প্রমাণ হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব: জামায়াত আমির
  • বঙ্গভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, সেনাবাহিনীর ধাওয়া
  • সরকার কি চাইলে এখন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে?
  • আজ বুধবার, ৭ কার্তিক, ১৪৩১ | ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
    আন্তর্জাতিক

    বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের বস্তার আঘাতে ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৫ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৫ পিএম

    বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের বস্তার আঘাতে ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৫ পিএম

    ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের বস্তার আঘাতে সামি আয়াদ নামের তিন বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে।

    শনিবার এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত শিশু সামির দাদা সিএনএনকে বলেন, আমাদের পরিবার সকালের নাস্তা খাচ্ছিল, তখন হুট করে বিমান থেকে ত্রাণের একটি বস্তা পড়ে।

    তিনি আরও বলেন, পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য তাঁবুর ভিতরে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বস্তাটি হুট করে পড়ে যাওয়ায় সামিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

    সামির দুই আত্মীয়রও পায়ে ও মুখে আঘাত লেগেছে বলে জানান তার দাদা। তিনি বলেন, আমি সামির সঙ্গে এখানে বসেছিলাম। যে মুহূর্তে আমি উঠে যাই তখনই বস্তাটি ওর ওপর পড়ে। সামি আর আমার মধ্যে মাত্র এক সেকেন্ডের দূরত্ব ছিল। পরক্ষণেই আমি ওকে কোলে নিয়ে দৌড়াতে শুরু করলাম।

    সামির দাদা হতাশার সুরে বলেন, আমাদের এখানে কোনও হাসপাতাল নেই। আমি পাগলের মতো দৌড় দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ওকে বাঁচাতে পারিনি। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।

    ঘটনার পর সিএনএনের ফুটেজে দেখা যায়, সামির ওপর বস্তা পড়ার পর তার দেহে রক্ত লেগে আছে। সামির দাদা ক্ষুদ্ধ হয়ে সিএনএনকে বলেন, আমরা ত্রাণ চাই না। আমরা চাই মর্যাদা। আরবদের কাছ থেকে আমরা এখনও পর্যন্ত যতটা অপমানিত হয়েছি তা যথেষ্ট। কেবল ইসরাইল নয়, যারা আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল না, তারা আমাদের সন্তানদের দিকে তাকান, আমাদের নারী, আমাদের বয়স্কদের দিকে তাকান।

    সামির চাচা মোহাম্মদ আয়াদ সিএনএনকে বলেন, আমাদের জীবন এখন অনিশ্চিত। অপমান, মৃত্যু, আতঙ্ক নিয়েই দিন পার করছি। রাতে ঘুম ভাঙবে কিনা জানি না।

    তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষ, আকাশ থেকে খাবার ফেলবে কেন? আমরা তো প্রাণী নই।

    গাজায় ত্রাণ সরবরাহ নিয়ন্ত্রক ইসরাইলি সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) খান ইউনিসে ৮১টি খাবারের বস্তা ফেলেছিল। ইসরাইলের কো-অর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরিজ (সিওজিএটি) জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ১০ হাজারেরও বেশি ত্রাণের বস্তা বিমান থেকে ফেলা হয়েছে।

    ‘মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টাইনস’ নামের একটি এনজিও-র গাজার পরিচালক ফিকর শালতুত অভিযোগ করেছেন, গাজা জুড়ে অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইল সরকার।

    সোমবার সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে শালতুত বলেন, গত এক বছর ধরে চলা ইসরাইলি বাহিনীর চালানো হত্যাযজ্ঞের মধ্যে তিন বছর বয়সি শিশুটি যেখানে প্রতি মুহুর্তে বেঁচে থাকার লড়াই করছিল, সেখানে বিমান থেকে পড়া একটা ত্রাণের বস্তায় চাপা পড়ে নিমিষেই মারা যাওয়া আসলেই খুবই মর্মান্তিক।

    এসএফ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…