বিগত ১৬ বছর ধরে গোপন কারাগারে চলা গুম, নির্যাতন, খুনের ‘নিউক্লিয়াস’ ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব কার্যক্রমে তার সম্পৃক্ততা সরাসরি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজ দুটি মামলার নির্ধারিত তারিখ ছিল। একটি মামলা ছিল শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের এবং অন্যটি তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা এবং উপদেষ্টাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার গ্রেফতারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন আদালত, সেবিষয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটিও জানতে চেয়েছেন আদালত।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হয়েছে সেসবের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেটি জানাতে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও তিন মাস তিনি দেশের মধ্যেই ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে বিদেশে চলে গেলেন সেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত। এবিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত শেষ হতে একটি যুক্তিসঙ্গত সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার। যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
এইচএ