মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র খোঁজখবর নেবে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকার পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা। এই মামলার বিষয়ে সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “সর্বশেষ বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমার দল খোঁজখবর নেবে। আমরা আপনার জন্য কিছু করতে পারলে আনন্দিত হব।”
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গুমসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়েও প্রশ্ন ওঠে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশে তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে গুম নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তদন্ত কমিশন গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য কী?
জবাবে প্যাটেল বলেন, “গত দুই দশকে শত শত বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে এমন প্রতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জোরপূর্বক গুম একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন যা ভুক্তভোগীদের অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা নিখোঁজ হওয়ার মতো ট্রমা সৃষ্টি করে। এটি তাদের পরিবারের ওপর অনিশ্চয়তার ট্রমা সৃষ্টি করে। আমরা এই অপরাধগুলোর তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং বিচারের জন্য ন্যায় ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় রাখার আহ্বান জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার পক্ষে। এ ধরনের অপরাধের যথাযথ তদন্ত হওয়া জরুরি।”
এসএফ