কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পুলিশের পিটুনিতে সিএনজিচালিত ইয়াছিন মিয়া (৪০) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (০৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার ফেকামারা এলাকায় এ ঘটনা হয়। নিহত সিএনজি চালক ইয়াছিন মিয়ার (৪০) বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তিনি কটিয়াদীর ফেকামারা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন।
নিহতের স্ত্রী আমেনা খাতুন বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে একজন পরিচিত লোক ফোন করে বলল আমার স্বামীর লাশ পরে আছে হাসপাতালে। অন্যান্য স্বজনদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। পরে খবর নিয়ে জানতে পারি আমার স্বামীকে কয়েকজন পুলিশ মিলে ধরে কোনো কারণ ছাড়াই পিটিয়ে হত্যা করার পর হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। আমি আমার সাম্মী হত্যার বিচার চাই।
পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার ফেকামারা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী লিটন মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশের চার সদস্যের একটি দল। দলের নেতৃত্ব দেন এসআই কামাল। অন্যান্য সদস্যরা হলেন এএসআই নাহিদ, এএসআই মস্তুফা ও কনস্টেবল আশরাফুল। পুলিশের কাছে গোপন সংবাদ ছিল মাদক ব্যবসায়ী লিটন মাদকের একটি বড় চালান এনেছেন। পুলিশের টিম লিটনের বাড়িতে পৌঁছালে বাড়িতে থাকা সবাই দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ওই বাড়িতে থাকা সিএনজি চালক ইয়াসিন মিয়া দৌড়াতে গিয়ে মাটিতে পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। দ্রুত তাঁকে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে, একজন ম্যাজিস্ট্যাটের সামনে মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার পর ময়নাতন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে কটিয়াদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবরবতী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর