অকাল বন্যায় এবার আমন উৎপাদন কম হওয়ায় ঘাটতি পূরণে সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেসরকারি পর্যায়ে আমদানিতে উৎসাহ দিতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, সরকারিভাবে ভারত থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ও জি টু জি ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া ৫০ হাজার মেট্রিক টন পাকিস্তান থেকে আমদানির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
চলতি মাসেই সরকারিভাবে আমদানি করা ১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম দেশে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে ১২ লাখ টনের বেশি চাল ও গমের মজুত আছে। সরকারি মজুত পর্যাপ্ত।
সিন্ডিকেট ভাঙতে মজুত বিরোধী যত আইন আছে, সেটি প্রয়োগে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বিভিন্ন সংকট আসবে, মোকাবিলার জন্য সরকারও প্রস্তুত। গত ১৫/১৬ বছরে সিস্টেমের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দলীয়করণের ছাপ পড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
এর আগে, সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভর্তুকি মূল্যে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সাময়িক মজুতদারির জন্য চালের বাজার অস্থিতিশীল। মনিটরিং করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
এইচএ