বোলিং অ্যাকশন ক্রুটিমুক্ত প্রমাণ করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অধীনে চেন্নাইয়ে গত ২১ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেন সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার বিসিবির এক পরিচালক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই রিপোর্ট সম্পর্কে বোর্ডকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। সেখানেও সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে ক্রুটি পাওয়া গেছে।
চেন্নাইয়ের ল্যাব থেকে বিসিবি’কে দু’দিন আগে সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের রিপোর্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক কোন চিঠি এখনো বোর্ড পায়নি। যে কারণে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিসিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
এর আগে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশনে ক্রুটি ধরা পড়ে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে ২ ডিসেম্বর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে পরীক্ষা দেন সাকিব। ১০ ডিসেম্বর ইসিবি জানায়, বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ফেল করেছেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার।
গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেন সাকিব। তখনই আম্পায়ার তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। সেখানে ফেল করায় তাকে আন্তর্জাতিক ও বিদেশি টুর্নামেন্টে সাময়িক বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
বিসিবি জানায়, অ্যাকশনে ত্রুটির কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি দেশের বাইরে কোন ধরনের টুর্নামেন্টেই বল করতে পারবেন না বাঁ-হাতি এই স্পিনার। তবে বিসিবির অধীনে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলতে বাধা ছিল না তার। এমনকি আন্তর্জাতিক ও অন্যান্য লিগে ব্যাটার হিসেবে খেলতেও বাধা নেই তার।
চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ফেল করায় সাকিব এখন স্বীকৃত ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। ক্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের নিয়মে বলা আছে, প্রথমবার বোলিং অ্যাকশনে ক্রুটি ধরা পড়ার পর দুই বছরের মধ্যে যদি দ্বিতীয়বার ক্রুটি ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হবেন ওই ক্রিকেটার। এমনকি ওই এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পার না হওয়ার আগে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে পারবেন না তিনি।
ক্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন ধারায় অন্যান্য শর্তও আছে। যেমন কোন বোলারের যদি নির্দিষ্ট কোন ডেলিভারির ক্ষেত্রে অ্যাকশন ক্রুটিপূর্ণ হয়, যেমন- দোসরা বোলিং। সেক্ষেত্রে ওই নির্দিষ্ট ডেলিভারিই কেবল করতে পারবেন না ওই ক্রিকেটার। বিসিবির কাছে বোলিং অ্যাকশনের আনুষ্ঠানিক রিপোর্ট আসলেই কেবল সাকিবের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। বিসিবি সাকিবকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখবে কিনা ওই সিদ্ধান্ত নিতে তার বোলিং অ্যাকশন রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিল।
এবি