যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সজীব হোসেনেকে উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম রকির বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, কেউ সজীবকে অপহরণ করেনি। তিনি স্বেচ্ছায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
সজিব রাজশাহী জেলার পুটিয়া উপজেলার বেলপুকুর থানার ক্ষুদ্র জামিরা গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে। সজীবের রোল নম্বর ১৯১১৩৭।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৮টা ৪০ মিনিটের সময় সজীব হোসেন নিখোঁজ হয়েছেন বলে প্রচার হয়। তার মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। ঐদিন রাতে সজীব হোসেনের রাতের খাবারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে বের হন। কিছুক্ষণ পর তার এক বন্ধু জানান, সজীবকে অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন অপহরণ করে আটকে রেখেছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের জানায়।
সংবাদ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুধবার সকালে যশোর কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর ৭৫৯। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। যদি সজীব হোসনের সন্ধান দ্রুত না পাওয়া যায়, তাহলে যবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিবে বলে প্রশাসনকে জানান।
পরে জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত অভিযানে নামে। পরে ডিবি পুলিশ সদর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম রকির বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করেন।
ডিবি পুলিশে একটি সূত্র জানিয়েছে, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। তিনি সেখানে স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন। তবে যেহেতু তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, সে কারণে পুলিশের সর্বমহলে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।