ভারত সীমান্তবর্তী ত্রিপুরার গৌড়নগরে পাওয়া বাংলাদেশীর মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্ত দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী, পুলিশ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও নিহতের ছেলে উপস্থিত ছিলেন। মৃত ব্যক্তি হলেন- হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম ডুলনা গ্রামের মনসুব উল্লাহর ছেলে জহুর আলী (৫২)।
চুনারুঘাট থানার পরিদর্শক তদন্ত শরীর আহমেদ জানান, বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে গত শরিবার তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে তারা ভারতের খোয়াই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে খোয়াই জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখানে তার ময়নাতদন্ত করা হয়। এর রিপোর্ট পরবর্তীতে আমাদের দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, খোয়াই থানা পুলিশের প্রাথমিক ধারণা নিউমনিয়া ও ফুসফুসে সমস্যাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তিনি সীমান্ত কিভাবে পাড়ি দিয়েছেন তা জানা যায়নি।চুনারুঘাটের গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, বিএসএফের আন্তরিকতায় আমরা খুশি। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে মরদেহ হস্তান্তর করায় তাদের ধন্যবাদ জানাই।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, জহুর আলী (৬০) ঢাকায় একটি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করতেন। গত ৪ জানুয়ারি তিনি ছুটিতে বাড়ি আসেন। এসময় বেশ কিছু লুঙ্গি নিয়ে আসেন তিনি। পরদিন রবিবার বিকেলে তিনি লুঙ্গিগুলো বিক্রি করে বাড়ি ফিরবেন বলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে বের হন। কিন্তু আর ফিরেননি।
সোমবার ভারতের স্থানীয় কিছু মিডিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জহুর আলীর মৃতদেহ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে সংবাদ প্রচার করে। বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জহুর আলীর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
এআই