জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের আওতায় পরিচালিত সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর (স্কিম) মুনাফার হার বাড়ছে। সঞ্চয়পত্রের ধরন অনুযায়ী এ হার বেড়ে হতে যাচ্ছে ১২ শতাংশের বেশি।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বর্ধিত হার নির্ধারণের আদেশ জারি করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (আইআরডি) অনুরোধ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
অর্থ বিভাগ আইআরডিকে বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অর্থ বিভাগের তৈরি এ বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। আর সুপারিশটি এসেছে অর্থসচিবের নেতৃত্বাধীন নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনা কমিটি (সিডিএমসি) থেকে। এ কমিটিকে সহায়তা করেছে অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ।
চিঠিতে বলা হয়, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার নির্ধারণ করা হবে পাঁচ বছর মেয়াদি ও দুই বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদের হার অনুযায়ী। প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রেজারি বন্ডের সুদহার পর্যালোচনা করে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনঃনির্ধারণ করা হবে।
বর্তমানে ৪টি সঞ্চয়পত্রের জন্য তিন ধরনের মুনাফার হার রয়েছে। নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার বেশি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এছাড়া ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে নতুন মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। তবে চলমান ব্যবস্থায় এই হার ৯ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ ।
আর পরিবার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে নতুন হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যেখানে চলমান ব্যবস্থায় মুনাফার হার ৯ দশমিক ৫০ থেকে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এদিকে নতুন ব্যবস্থায় পেনশনার স্কিমের বিপরীতে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বর্তমানে যা ৯ দশমিক ৭৫ থেকে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
তবে ওয়েজ আর্নার্স বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডের হার অপরিবর্তিত থাকবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই এ সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি আসবে। তবে ১ জানুয়ারি থেকে নতুন এই পদ্ধতি কার্যকর হবে।
এইচএ