২০২৮ সালের কোপা আমেরিকার আয়োজক দেশ নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল। এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও প্রাথমিক আলোচনায় আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নাম সামনে আসছে। এর আগে ২০১৬ ও ২০২৪ সালে দেশটি এই মহাদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল।
কনমেবল বর্তমানে ফিফার সঙ্গে ২০৩০ বিশ্বকাপের কাঠামো নিয়েও আলোচনা চালাচ্ছে। সেখানে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ৪৮ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করার প্রস্তাবসহ দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা উঠে এসেছে। এসব বড় আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যেই ২০২৮ কোপা আমেরিকার আয়োজক নিয়ে ভাবনাচিন্তা জোরদার হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, কনক্যাকাফ ও কনমেবলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা আয়োজন নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। উন্নত অবকাঠামো, বড় দর্শকসংখ্যা এবং আগের সফল অভিজ্ঞতার কারণে দেশটিকে নিরাপদ ও লাভজনক বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২৬ বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক গেমস সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবলের পরিকাঠামোও দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে।
তবে আয়োজক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র বিকল্প নয়। ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার নামও আলোচনায় রয়েছে। যদিও ইকুয়েডরের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি আগেই জানিয়েছেন, বর্তমান অবকাঠামো দিয়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা কঠিন। তাঁর মতে, বড় পরিসরের বিনিয়োগ ছাড়া কোপা আমেরিকার মতো প্রতিযোগিতা আয়োজন সম্ভব নয়।
এর মধ্যেও ইকুয়েডরের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশটিকে সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০২৪ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট এক বক্তব্যে জানান, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সক্ষমতা থাকলে ইকুয়েডর এই দায়িত্ব নিতে পারবে।
আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রেও রয়েছে বাস্তব সম্ভাবনা। দেশটির একাধিক শহরে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম রয়েছে, যেখানে বড় পরিসরের টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব। সর্বশেষ ২০১১ সালে কোপা আমেরিকা আয়োজন করেছিল আর্জেন্টিনা। পাশাপাশি ২০৩০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েকে যুক্ত করে যৌথ আয়োজনের ধারণাও আলোচনায় এসেছে।
আরডি