সুমন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জে ভবন মালিকের গুলিতে আহত রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার সফিকুর রহমান কাজল (৫০) মারা গেছেন।
সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে রোববার রাতে শহরের চাষাড়া বাগে জান্নাত মসজিদ সংলগ্ন আঙ্গুরা প্লাজায় ?সুলতান ভাই কাচ্চি রেস্টুরেন্টে? প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী স্টাইলে গুলি করে তাণ্ডব চালান আঙ্গুরা প্লাজার একাংশের মালিক আজহার তালুকদার।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, বাড়ির মালিকানা, বিদ্যুৎ ও পানির বিল নিয়ে বিরোধের জের ধরে আঙ্গুরা প্লাজার একাংশের মালিক আজহার তালুকদারের বন্ধুকের গুলিতে ৫ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সফিকুর রহমান কাজল (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, এঘটনায় একটি পিস্তল ও একটি শটগান জব্দ করা হয়েছে। এগুলোর লাইসেন্স রয়েছে কিনা যাচাই বাছাই চলছে। অধিকতর তদন্তের জন্য ভবনের একাংশের মালিক আজহার তালুকদার ও তার ছেলে আরিফ তালুকদার নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাতে রেস্তোরার মালিক শুক্কুর আলী বলেন, রাতে মৃত্যুর খবর পেয়েছি। মরদেহ আনার প্রস্তুতি চলছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই শফিকুল ইসলামও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, আজাহার তালুকদার ও তার চার ভাই চাষাঢ়ায় বাগে জান্নাত মহল্লায় আঙ্গুর ভিলা নামে একটি ছয়তালা বাড়ির মালিক। বাড়ির নিচতালায় থাকা বেশ কয়েকটি দোকান একেক ভাইয়ের নামে বরাদ্দ। রেস্তোরার মালিক শুক্কুর আলী আজাহারের ছোট ভাই আজিজুল হাওলাদারের কাছ থেকে ঘর ভাড়া নেয়।
রোববার রাত সাড়ে ৮টায় আজাহার রেস্তোরায় প্রবেশ করে পানির জন্য ১০ লাখ টাকা এককালীন বিল চায়। এসময় রেস্তোরার মালিক জানায়, ভাড়ার বিষয়ে আজিজুলের সঙ্গে কথা বলবে। ভাড়া নিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পরে আজাহার ও দোকানের মালিকপক্ষ। এক পর্যায়ে আজাহার ক্ষুব্ধ হয়ে ঘর থেকে পিস্তল ও শটগান নিয়ে আসে এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এসময় রেস্তোরার ম্যানেজার কাজলের পেটে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়া এলোপাথাড়ি গুলি করে পাঁচজনকে আহত করেন আঙ্গুরা প্লাজার মালিক মুক্তিযোদ্ধা আজহার তালুকদার। আহতরা হলেন- রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ইউনুস (৩৫), আউয়াল (৩০) ও জনি (১৬) ও আজাহার তালুকদারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আঁখি (১৭)।