পেঁয়াজের সংকট আছে কি না, সেই প্রশ্নের ধারেকাছেও ঘেঁষছেন না ব্যবসায়ীরা। শুধু ভারতের রফতানি বন্ধের ঘোষণাতেই এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১২ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে পেঁয়াজের দাম।
রাজধানীর পেঁয়াজ সরবরাহ করা সবচেয়ে বড় আড়ত শ্যামবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের এক ঘোষণা রাজধানীর শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিলো কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা। যদিও দেশের বাজারে নেই সংকট, তারপরও বেড়েছে দাম এই নিত্যপণ্যের। পুরান ঢাকার সবচেয়ে বড় আদা-রসুন-পেঁয়াজের আড়তে এসে আকস্মিক দাম বৃদ্ধির চাপে পড়েছেন বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগের দিনও তারা ৪২-৪৫ টাকায় শ্যামবাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন। মাত্র এক রাতের ব্যবধানেই সেই পেঁয়াজ কিনছেন তারা ৫০-৫৫ টাকায়।
আড়তদাররা জানান, পাবনা, ফরিদপুরসহ দেশের সব স্থানের মোকামেই ১ হাজার ৭০০ টাকার বস্তা গিয়ে ঠেকেছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকায়।
তবে আড়তদাররা জানান, পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলেও শিগগিরই সংকটে পড়তে যাচ্ছে না দেশ, তবুও দিনশেষে এক রাতের ব্যবধানেই দামবৃদ্ধি দেখা গেল পেঁয়াজের।
গত ডিসেম্বর থেকেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত। সেই সময়সীমা ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকাল করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। সেই ঘোষণার প্রভাবেই এক রাতের ব্যবধানে উত্তাপ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজের বাজার।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, শুধু ঘোষণার কারণেই তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, যদি দেশে সত্যিকার অর্থে সংকট দেখা দেয় তাহলে এই দাম আকাশছোঁয়া হবে। আর একবার কোনো কিছুর দাম বাড়ালে, সেই সংকট যতই কাটুক, দাম কমান না তারা।
যদিও বিশেষ প্রক্রিয়ায় চলমান রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। তবে ভারতের হঠাৎ ঘোষণার রেশ কেটে গেলেই দাম আবার কমে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।