এইমাত্র
  • চট্টগ্রামে ডাস্টবিনে মিলল নবজাতকের মরদেহ
  • গাছ লাগিয়ে গিনেজ বুকে জায়গা করতে চায় ছাত্রলীগ
  • বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ জনের
  • ফটিকছড়িতে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা
  • বিভাগীয় অপরাজিতা সম্মাননা পেলেন রাণীনগরের চন্দনা
  • রাজবাড়ীতে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার ২
  • শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
  • একমাত্র আল্লাহর রহমত হিসেবে বৃষ্টি আসে
  • কলকাতার ২৬১ রান তাড়া করে জিতল পাঞ্জাব
  • ভারতে ভোট দিতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু
  • আজ শনিবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
    শিক্ষাঙ্গন

    নতুন কারিকুলাম

    প্রতি বিষয়ে পাঁচ ঘণ্টার পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের!

    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৪, ০৫:০১ পিএম

    প্রতি বিষয়ে পাঁচ ঘণ্টার পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের!

    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৪, ০৫:০১ পিএম

    নতুন কারিকুলামে মূল্যায়নের খসড়া প্রস্তুত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি। জুন থেকেই নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে বোর্ড।

    খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি বিষয়ে মিডটার্ম ও বার্ষিকের মতো চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। এই সময়ে ছয়টি সেশন হবে। প্রথম চার ঘণ্টা ব্যবহারিক ও এক ঘণ্টা তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষার মূল্যায়ন করবে শিক্ষা বোর্ড। পাঁচ ঘণ্টার এই সেশনগুলোতে একজন শিক্ষার্থীকে দলগতভাবে কাজ করতে হবে। আবার প্রত্যেককে এককভাবে ব্যবহারিক কাজও করতে হবে।

    চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা বা মূল্যায়ন কেন্দ্র হবে শিক্ষার্থীর নিজ প্রতিষ্ঠানেই। আর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য যেতে হবে নিজ স্কুলের বাইরের ভিন্ন কেন্দ্রে।

    আগামী জুন মাসে এই মুল্যায়ন পদ্ধতি চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী, শুধু দশম শ্রেণির সিলেবাসের ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হবে। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসের ভিত্তিতে এইচএসসি পর্যায়ে দুইটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

    বিষয়টি নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান জানান, পরীক্ষার জন্য মার্কিং সিস্টেম থাকবে না। মূল্যায়নকারীরা ফলাফলকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করবে। চতুর্থ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছরের জন্য মিডটার্ম এবং ফাইনাল পরীক্ষা হবে। এসএসসি এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের শুধু চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।

    এনসিটিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন নিয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ নিয়ে আমরা এই খসড়া তৈরি করেছি। এটি মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সামনে উত্থাপন করেছি। তারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

    সোমবার (২৫ মার্চ) এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, এগুলো এখনো আলোচনার পর্যায়ে আছে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যে প্রস্তাবনার কথা বলা আছে, তা পাঁচ ঘণ্টা। এগুলো আমরা প্রস্তাব করেছি। যখন ফাইনাল (চূড়ান্ত) হবে, তখন আমরা জানিয়ে দেব।

    মশিউজ্জামান বলেন, আমরা গতবার যে পরীক্ষা (অ্যাসেসমেন্ট) নিয়েছি, সেটি তিন দিনে। সেটির নাম ছিল অ্যাসেসমেন্ট উৎসব। ওরা (শিক্ষার্থী) প্রথম দিনে ইনস্ট্রাকশন পেয়েছে, দ্বিতীয় দিনে ডাটা প্রসেস করেছে, তৃতীয় দিনে ফাইনাল রেজাল্ট দিয়েছে। তিনটি ভাগে কাজটি করেছে।

    ‘আমরা এর পরে জানতে পারি, প্রতিদিন ক্লাস রুটিন অনুযায়ী সেগুলো হচ্ছিল। তারা বলেছিল একই দিনে যখন একাধিক বিষয়ের কাজ করতে হয়, তখন তা কঠিন হয়ে পড়ে। এখন আমরা বলেছি, এক দিন একটি বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে। ওই বিষয় ছাড়া সেদিন আর অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে না।’

    নতুন মূল্যায়ন প্রস্তাবনার ব্যাখ্যা দিয়ে এনসিটিবির এ সদস্য বলেন, পাঁচ ঘণ্টা মানে হলো স্কুল সময়ের পাঁচ ঘণ্টা, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সেখানে ছয় ঘণ্টার মধ্যে মাঝখানে এক ঘণ্টা নামাজ এবং মধ্যাহ্ন বিরতি দিয়ে বাকি পাঁচ ঘণ্টা তারা কাজ করবে। একটি এক্সপেরিমেন্ট দেওয়া হবে। তারা সকাল ১০টা থেকে শুরু করবে। শেষ সময়ে এক ঘণ্টা বা বিষয় অনুযায়ী সোয়া এক ঘণ্টা একটি লিখিত অংশ থাকবে। সেই সময় লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। বাদ বাকি সময় তাদের অ্যাকটিভিটিজে যাবে।

    ‘এখানে যে পাঁচ ঘণ্টা বসে বসে লিখিত পরীক্ষা দিচ্ছে, আগের তিন ঘণ্টার পরীক্ষার মতো, বিষয়টি তা নয়। ’

    মশিউজ্জামান বলেন, স্কুল যেভাবে করে সেভাবেই করবে। পাবলিক পরীক্ষার সেন্টারে যেতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাইরের অ্যাসেসর থাকবেন অর্থাৎ অন্য স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অ্যাসেসমেন্ট করবেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা সারাদিন যে কাজ করবে, গতবার আমরা ফাইনাল পরীক্ষা যেমন করে নিয়েছি, সেভাবেই তাদের কাজ দেখা হবে এবং অবজারভেশন-চেকলিস্ট অনুযায়ী তাদের অ্যাসেস করা হবে। ফাইনালি তারা একটি লিখিত রূপ জমা দেবে। সেটি বোর্ডের পরীক্ষার খাতায় করবে। কোনো বিষয়ের জন্য এক ঘণ্টা, কোনো বিষয়ের জন্য সোয়া এক ঘণ্টা, কোনো বিষয়ের জন্য দেড় ঘণ্টা হতে পারে। এর বেশি আসলে হবে না। তার মানে পাঁচ ঘণ্টা বসে বসে তারা লিখছে, এটা কেউ মনে করলে সেটি ভুল।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…