ময়মনসিংহের ফুলপুরে মহিলা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে বের হয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচার চেয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায়।
মাদরাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ তাফাজ্জল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন দুর্নীতি করে আসছেন। তার নিকট মাদরাসা লক্ষ লক্ষ টাকা পাবে বলে অডিট কমিটির এক রিপোর্টে জানা যায়। গত (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে মাদরাসা ছুটির পূর্ব মুহূর্তে অফিস সহকারী মো: নূরুল ইসলাম ও উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ শফীকুল ইসলামের সাথে দুর্ব্যবহার, গালিগালাজ ও কথা কাটাকাটি করেন অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ তাফাজ্জল হোসেন। এক পর্যায়ে অফিস সহকারী মো: নূরুল ইসলামকে গলা ধাক্কা দিয়ে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন তিনি। এছাড়া অফিস সহকারী রাজিয়া বেগমকে ছুটির পরও তিনি এক ঘন্টা আটকে রাখেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষক কর্মচারীদেরকে বিভিন্ন সময় মানসিকভাবে তিনি নির্যাতন করে থাকেন বলে অভিযোগ করেন মো. জাকির হাসান নামে একজন প্রভাষক।
আরও জানা গেছে, ফুলপুর মহিলা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ তাফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন ও দূর্নীতসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীসহ ৪১ জন শিক্ষক-কর্মচারী গত (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দেন।
পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ফারুক ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পরিতোষ সূত্রধর উপজেলা সভা কক্ষে আলোচনায় বসেন এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শারীরিক- মানসিক নির্যাতন ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে তার পদত্যাগ ও বিচার দাবী করেন।
এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ফারুক তাদের কথা শুনে বলেন, আপনারা শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে যান। শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ মাদরাসায় ফিরে যান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ তাফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা, আমি কেমন মানুষ তা সবাই জানে।
এমআর