জার্মানির মিউনিখে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে সন্ত্রাসী হামলার পর এক সশস্ত্র ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির পুলিশ। নিহত হামলাকারী ১৮ বছর বয়সী একজন অস্ট্রিয়ান নাগরিক। মিউনিখের পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে বেয়নেট ও রাইফেল ছিল।
মিউনিখ পুলিশ এক্স-এর একটি পোস্টের জানিয়েছে, গুলি লাগার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তি মারাত্মকভাবে আহত হয়। পাঁচজন কর্মকর্তা তার সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়ছে পুলিশের মুখপাত্র আন্দ্রেয়াস ফ্রাঙ্কেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ঘটনাটি আরো বিস্তারিত মূল্যায়নের জন্য একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে, দেশটির পুলিশ জানায়, অন্য সন্দেহভাজনরা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই।
গত মঙ্গলবার হারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হামলাটি পরিকল্পিত ছিল। গুলি চালানোর ঘটনাস্থলের কাছে একটি গাড়ি পার্ক করে রেখেছিল ওই কিশোর।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী জার্মান মিডিয়াকে বলেন, পুলিশ সন্দেহভাজনকে মাটিতে গুলি করার আগে তিনি বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনেছেন। তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনেছি এবং একটি শুটিং ক্লাবের সদস্য হওয়ায় আমি বুঝতে পারছিলাম তারা গুলি করছে।
তিনি আরো বলেন, প্রথম পুলিশ অফিসারদের তার পিছনে আসতে কয়েক মিনিট সময় লেগেছিল। এরপর তারা তাকে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ বার গুলি করে। এরপর আমি কেবল তাদের চিৎকার করতে শুনেছি যে 'সে মাটিতে শুয়ে আছে, সে নড়ছে না।'
এমএইচ