পাকিস্তানের আঞ্চলিক জলসীমায় তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদ পাওয়া গেছে বলে দাবি জানিয়েছে দেশটি। এতে করে অর্থ সংকটে থাকা দেশটির ভাগ্য পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্যা ডন।
ওই কর্মকর্তা জানান, একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সহযোগিতায় তিন বছরের সমীক্ষার পর জলসীমায় এই মজুত পাওয়া গেছে। এছাড়া পাকিস্তানের ভৌগোলিক জরিপ কর্তৃপক্ষও বিশাল এই মজুতের অবস্থান খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে।
এছাড়া জলসীমায় পাওয়া তেল ও গ্যাসের সম্পদের তথ্য সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে পাকিস্তান সরকারকে জানানো হয়েছে এবং আরও বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য প্রস্তাবগুলো অধ্যয়ন করা হচ্ছে, যার অর্থ খুব শিগগিরই অনুসন্ধানের কাজ শুরু করা যেতে পারে। তবে কূপ খনন করে তেল উত্তেলন করতে আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
এই মজুদকে 'নীল জলের অর্থনীতি' অভিহিত করে এই সম্পদ থেকে উপকৃত হওয়ার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
তবে ‘ব্লু ওয়াটার ইকোনমি’তে তেল ও গ্যাসের সাথেও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ উপাদান থাকতে পারে যা সমুদ্র থেকে খনন করা যেতে পারে। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত করা হলে পাকিস্তানকে তার অর্থনীতির উন্নতি এবং দেশের অর্থনৈতিক ভাগ্যকে ঘুরিয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে বলে জানান তিনি।
তবে এই মজুদগুলো দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করে উৎপাদনের আকার ও পুনরুদ্ধারের হারের ওপর। যদি এটি একটি গ্যাস রিজার্ভ হয় তবে এটি এলএনজি আমদানি নির্ভরতা কমাতে পারে এবং যদি এটি তেলের মজুত হয় তবে আমাদের তেল আমদানি বন্ধ করতে পারি।’
তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যতক্ষণ না এই মজুতের আরও বিশ্লেষণ করা হয় এবং ড্রিলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়, ততক্ষণ নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাবে না।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, শুধুমাত্র অনুসন্ধানের জন্য প্রায় পাঁচশ কোটি মার্কিন ডলারের বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন এবং যদি অনুসন্ধানে ভালো ফল পাওয়া যায়, তাহলে মজুদ উত্তোলন ও জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কূপ এবং অবকাঠামো স্থাপনের জন্য আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। ফলে এই ধরনের অবস্থান থেকে তেল বা গ্যাস উত্তোলনে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।
এমএইচ