ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগ সন্দেহে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় তার ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে গেস্ট রুমে মারধর, আন্দোলনের সময় নানা ধরনের হুমকি ধামকি, অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কূটসা রটনাসহ নানা ধরনের নির্যাতন করেছে।
রবিবার (৮ আগস্ট) ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে মারধরের এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মারধরের স্বীকার ছাত্র শাহীন ঢাকা কলেজের ২১-২২ সেশনের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। সে ঢাকা কলেজ আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস হলের আবাসিক ছাত্র এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিল। ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে সিনিয়র জুনিয়র শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে, এই ঘটনার পরও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হলে সিট দিয়েছে। আমাদের দাবি ছাত্রলীগের এই নিপীড়ক শিক্ষার্থীর হলের সিট বাতিল করতে হবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে বিষয়টা সমাধান করে দেয় শিক্ষকরা।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শাহিন বলেন, আমি সিনিয়রদের গায়ে হাত তুলেছিলাম বড় ভাইদের নির্দেশে। আমি আমার ফল পেয়ে গেছি। আমি যেই ভাইকে নির্যাতন করেছিলাম তার কাছে হাত ধরে ক্ষমা চেয়েছি। আমি ভাইয়ের কাছে আবারও ক্ষমা চাচ্ছি। আমি জীবনে এই ধরনের কাজ আর করব না।
এই বিষয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গিয়ে দেখি মনোবিজ্ঞান বিভাগের নিয়ে আসছে। অপরাধ করলে শাস্তি অবশ্যই পাবে। কিন্তু নিজের হাতে যদি সবাই আইন তুলে নেয় তাহলে এটা ভালো হয় না। সবাই যদি আইন তুলে নেয় তাহলে অরাজকতার সৃষ্টি হবে। কারো বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের কাছে জানানোর আহ্বান জানান। তাহলে বিভাগীয়ভাবে তদন্ত করে সেটার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।