এইমাত্র
  • কলকাতায় ইলিশের কেজি ৫ হাজার টাকা
  • দুবাইফেরত যাত্রীর সাবান-শ্যাম্পু হাতিয়ে বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা
  • আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিলেন মমতা
  • নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
  • সাবেক এমপি বাদলের কবরে ভাঙচুর-আগুন
  • ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৭২
  • পদোন্নতিতে সচিবের পদে বসলেন ৩ অতিরিক্ত সচিব
  • হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নতুন শুল্কে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
  • পুলিশের ১৮৭ সদস্য এখনও কর্মস্থলে অনুপস্থিত
  • ১০০ কোটি টাকা নিয়ে জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু
  • আজ মঙ্গলবার, ২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    জাতীয়

    মারধরের পর সিএমএইচে ছিলেন হারুন, এখন কোথায়?

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম

    মারধরের পর সিএমএইচে ছিলেন হারুন, এখন কোথায়?

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম

    গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সরকার পতনের পর সারা দেশে সাবেক সরকার প্রধান শেখ হাসিনাসহ প্রশাসনের আলোচিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক হত্যা ও গুমের মামলা হয়। সবচেয়ে বেশি মামলার খড়গ নেমে আসে পুলিশ বাহিনীর ওপর। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর অতিরিক্ত বল-প্রয়োগ ও হত্যার অভিযোগ ওঠে এ বাহিনীর বিরুদ্ধে।

    পুলিশের কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত ডিএমপির বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ১৩৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সাবেক ডিবি-প্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৮টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর রয়েছেন সদ্য বিদায়ী আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, তার নামে করা হয়েছে ৩৬টি মামলা।

    এত মামলা হওয়ার পরও পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হলেন না কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন করছেন ডিবি হারুন এখন কোথায় আছেন। তিনি দেশে আছেন কিংবা জীবিত আছেন কি না এসব প্রশ্ন করছেন।

    পুলিশের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, হারুন অর রশীদ এখনও জীবিত এবং দেশে অবস্থান করছেন। সরকার পতনের পর তিনি দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে দেশেই অবস্থান করছেন। সরকার পতনের পর মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন।

    ডিএমপির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ডিএমপি পুলিশের নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হারুনের ছবি দেখা গেছে। তিনি অসুস্থ অবস্থায় সিএমএইচে ভর্তি ছিলেন। এরপর ছবিটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। তবে আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে তিনি সিএমএইচে ছিলেন। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার জানা না গেলেও তিনি ঢাকাতেই আছেন বলে জানতে পেরেছি।

    পুলিশের দায়িত্বশীল আরেকটি সূত্র জানায়, সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট হারুন অর রশীদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দেওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেদিন হারুন জানান, তিনি দেশেই আছেন, বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। ৬ আগস্ট তিনি অফিসেও গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। পরদিন ৭ আগস্ট থেকে পুলিশের এই কর্মকর্তার কোনও হদিস পাওয়া যায়নি।

    একাধিক সূত্রে জানা গেছে, হারুন অর রশীদকে ৮ থেকে ১০ আগস্টের মধ্যে মারধর করা হয়েছিল। পুলিশের কিছু অফিসার সিভিল পোশাকে তাকে মারধর করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে এবং পরে হারুনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।

    মঙ্গলবার ২৬ জুলাই, ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তাদের নির্যাতন করা হয় এবং পরে তাদের দিয়ে জোর করে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণাপত্র পড়ানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর হারুনকে সমালোচনার মুখে ৩১ জুলাই ঢাকা থেকে বদলি করা হয়।

    হারুন অর রশীদকে নিয়ে বিভিন্ন তথ্য ফাঁস হয়েছে, যার মধ্যে একটি ফোন রেকর্ডে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের দাস, সরকারের নির্দেশেই আমাদের সব করতে হয়।’ এছাড়া একটি রেকর্ডে হারুন বলেন, ‘সমন্বয়কদের ধরার নির্দেশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।’

    সরকার পতনের পর হারুনের পালানোর বিষয়ে দুটি সূত্রের মধ্যে একটিতে বলা হয় যে, তিনি পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়াল টপকে বের হয়ে রিকশায় চড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান, অন্যটি জানায় যে তিনি বিমানবন্দরে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হন।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…