এইমাত্র
  • কলকাতায় ইলিশের কেজি ৫ হাজার টাকা
  • দুবাইফেরত যাত্রীর সাবান-শ্যাম্পু হাতিয়ে বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা
  • আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিলেন মমতা
  • নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
  • সাবেক এমপি বাদলের কবরে ভাঙচুর-আগুন
  • ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৭২
  • পদোন্নতিতে সচিবের পদে বসলেন ৩ অতিরিক্ত সচিব
  • হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নতুন শুল্কে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
  • পুলিশের ১৮৭ সদস্য এখনও কর্মস্থলে অনুপস্থিত
  • ১০০ কোটি টাকা নিয়ে জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু
  • আজ মঙ্গলবার, ২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    শিক্ষাঙ্গন

    ১৬ বছর পর পরিবর্তন হলো শেকৃবির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম

    ১৬ বছর পর পরিবর্তন হলো শেকৃবির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম

    রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) দীর্ঘ ১৬ বছর পর ১৫ জুলাইয়ের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে আজ ১১ সেপ্টেম্বরে।

    বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে র‍্যালি শুরু করে কৃষি অনুষদের চতুর্দিকে ঘুরে আলোচনা সভায় এসে মিলিত হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ আলোচনা সভায় বলেন, তৎকালীন প্রশাসনকে বারবার বলা হয়েছিল সংসদে পাসকৃত আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ১১ সেপ্টেম্বর হওয়া উচিৎ। কিন্তু তারা বলেছিলেন, যখন যেভাবে হয় হবে, আমরা এখন থেকে ১৫ জুলাই পালন করবো। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সকলের সহযোগিতায় আমরা ১১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি পালন করতে পেরেছি। আগামী বছর আমরা ব্যাপকভাবে আয়োজন করার চেষ্টা করবো।

    হর্টিকালকালচার বিভাগের অধ্যাপক জসিমউদদীন বলেন, ছাত্র অবস্থায় আমরা দেখেছি গত ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত শেকৃবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১১ সেপ্টেম্বর পালন করা হতো। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি শেকৃবিতে আওয়ামী প্রশাসন ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেন যা আইনত অবৈধ। শুধুমাত্র প্রফেসর সাদত উল্লাহ স্যার কে প্রথম ভিসি হিসেবে দেখানোর জন্য তখন কার প্রশাসন মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের শেষ কর্মদিবসে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলেন যার মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।

    এরই প্রেক্ষিতে তখন সকল শিক্ষার্থী , শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যৌথ আন্দোলনের‌ অংশ হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় এর সেকেন্ড গেইট এর রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিলেন। পুলিশের নির্যাতনে কিছু শিক্ষার্থী আহত হলে পরে আন্দোলনের তীব্রতা দেখা দেয় ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এর কার্যক্রম পূণরায় চালু করতে বাধ্য হন।

    কয়েকজন ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী অনুভূতি প্রকাশ করে জানায়, সত্য কখনো চাপা থাকেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ৫ বছর হয়ে গেল কিন্তু একবারও কোনভাবে কানে আসেনি ১১ সেপ্টেম্বরের কথা। ভূল থেকে বের হয়ে এসে সত্য প্রতিষ্ঠায় এক ধরনের আনন্দ রয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল হোক এই প্রত্যাশা থাকবে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…