নীলফামারীর গ্রামীন সড়কে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক চলাচল করে। এতে গত ১ বছর ধরে প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কে ক্ষতবিক্ষত ও ছোট-বড় গর্ত হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। এঘটনায় বালুবাহী ৫টি ড্রাম ট্রাক আটক করে এই সড়কে ভারী ড্রাম ট্রাক বন্ধে দাবি করেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজার এলাকায় গাড়ি গুলো আটক করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
গ্রামীন সড়কে সর্বোচ্চ ১০ টন পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অনুমতি থাকলেও সেখানে ড্রাম ট্রাক ৩৫-৪০ টন লোড নিয়ে চলাচল করায় সড়কে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, 'রামগঞ্জ বাজার থেকে বালার পুকুর এলাকায় পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় গর্ত হয়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। সড়কে দেখলেই মনে হতে পারে সড়কটি পুকুরে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টি হওয়া পানিতে তলিয়ে গেছে সড়কের বিভিন্ন জায়গায়। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ভাঙা সড়কের উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে রয়েছে রামগঞ্জ ব্রিজ, সাধুরপুল ও টুপামারী ব্রিজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কটি পাকা করণের আড়াই বছরের মধ্যেই ড্রাম ট্রাকে ভেঙে সড়ক খানখান করে দিচ্ছে। বেপরোয়া গাড়ির গতির কারণে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। বিভিন্ন ভাঙা ও দেবে যাওয়া জায়গায় বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গাড়ি চলাচলের জন্য এখন দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় শিক্ষার্থীরা জানান, ‘এই সড়কের উপর দিয়ে দুই উপজেলার লোকজন জেলা, উপজেলা শহরে ও ইউনিয়নে যাতায়াত করে থাকে। সড়কে নির্মাণ করার আড়াই বছর পরেই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ড্রাম ট্রাকে চলাচল করায় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় গর্ত হয়েছে। এতে এখন সড়কে দিয়ে চলাচলকারী লোকজন দুর্ভোগে পড়েছে। আমরা এই সড়কে এইধরনের ভারী ড্রাম ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবিতে ট্রাক গুলো আটক করে ৭টি দাবি জানিয়েছি।
টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মছিরত আলী শাহ্ ফকির জানান, ‘এই সড়কের উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল করায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় গর্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ড্রাম ট্রাক গুলো আটক করে এই গ্রামীন সড়কে গাড়ি গুলো চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বিষয়ে ইউএনওকে অবগত করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, এই ড্রাম ট্রাক গুলো দিয়ে বালু নেওয়ার কোন আইনগত বৈধতা নেই। ড্রাম ট্রাকগুলো চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বলেছেন।
এফএস