ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে ২টি মামলা হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং ১২ সেপ্টেম্বর দ্রুতবিচার আইনে মামলা করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
এ দিকে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন নৌকার আলোচিত সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে গত ২ সেপ্টেম্বর অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তিনিও আত্মগোপনে আছেন।
ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে ৪টি ও রাজাপুর উপজেলায় ১টি মামলা হয়েছে। এছাড়া নলছিটি ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় এ পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এদিকে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহআলম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনিরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
ঝালকাঠি পৌর বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান তাপু, ঝালকাঠি পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুমন মন্ডল, সদর উপজেলায় ছাত্রদলের সহসভাপতি বিত্তয় কুমার সরকার ওরফে কেশব সুমন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম জামালের ভাই বিএনপি নেতা মিনার মাহমুদ জুয়েল ও জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমীন লেলিন মুক্তা বাদী হয়ে পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া রাজাপুর উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন বাদী হয়ে ৩৪৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
গত ৫ তারিখ থেকে হামলা মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে জেলাজুড়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ’সহ অঙ্গসংগঠের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছে। যে কারণে আওয়ামী লীগ শুন্য ঝালকাঠি জেলা।
এইচএ