এইমাত্র
  • মোদি-বাইডেনের বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা
  • শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট বামপন্থী অনূঢ়া
  • সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী গ্রেপ্তার
  • ২১ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৬৩ কোটি ডলার
  • হিলিতে কৃষকদের মাঝে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ ও সার বিতরণ
  • বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনকে অপসারণ
  • কক্সবাজারে ব্যাগভর্তি ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক
  • রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার
  • পাহাড় শান্ত না থাকলে কেউই শান্তিতে থাকতে পারবে না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
  • বরিশালে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ এবং স্মারকলিপি প্রদান
  • আজ রবিবার, ৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    এখনই আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালাতে চায় না ভারত

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম

    এখনই আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালাতে চায় না ভারত

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম

    দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক হলেও ভারতের অনীহার কারণে রেলসেবা গত প্রায় দুই মাস হতে চলল বন্ধ রয়েছে। যাত্রী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের যাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে। রেলপথে কবে নাগাদ যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি কেউ। তবে পণ্য বাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে এ মাসের ৪ তারিখ থেকে। ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর খুলনা-কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটির চলাচল শুরু হয়।

    সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের খুলনা ও ভারতের কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ আন্তর্দেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করত বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এ রুটে ট্রেন চলাচল। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির বিপরীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু আন্তর্দেশীয় ট্রেন চালাতে ভারত সরকার এখনই রাজি হচ্ছে না।

    আবার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে বন্ধ থাকা ভিসার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশকে এখনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য নিরাপদ মনে করা হচ্ছে না। তাই পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও বন্ধ রাখা হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল ও সড়কপথে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এবং যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে থাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই সড়কপথে যাত্রী যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহন সীমিত পরিসরে চলমান থাকলেও রেলপথে যাত্রী, পণ্য পরিবহন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। ২৫ জুলাই থেকে সড়কপথে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি ও যাত্রী চলাচল। এরপর গত ১৯ আগস্ট দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন বিভাগের এক চিঠির বিপরীতে পণ্যবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে অনুমতি দেয় ভারত। ওই রাতেই পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে অনাপত্তি পায় বাংলাদেশ। তারই প্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করতে বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ ভারতের রেল মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানালেও সাড়া মিলছে না।

    রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলাদা করে যোগাযোগ হয়েছে। এতে দেশটির রেলওয়ে ট্রেন চালাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু তারা এখনই যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চাচ্ছে না। মূলত নিরাপত্তাঝুঁকির কথা বলা হচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ট্রেন চালানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে চায়। তবে সিদ্ধান্ত কবে আসতে পারে তা কেউ জানাতে পারেনি। যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে চেষ্টা চলমান আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

    এদিকে গ্রীন লাইন পরিবহনের বেনাপোল কাউন্টারের ব্যবস্থাপক মি. রবীন বলেন, ঢাকা-কলকাতা সড়ক পথে গ্রীণ লাইন, সৌহার্দ্য, শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস ও কলকাতা-ত্রিপুরা সড়ক পথে মৈত্রী যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস চলছে। নিয়মিতভাবেই এসব বাস ছেড়ে যাচ্ছে। এক বাসেই সরাসরি কলকাতা যাওয়া যাচ্ছে।

    বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টাস এন্ড এক্সপোর্টাস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, প্রায় দুই মাস হতে যাচ্ছে রেলপথে যাত্রী পরিবহন বন্ধ আছে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও যাত্রীরা।

    বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেল স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলরুটে যাত্রী পরিবহন করে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরাপত্তাজনিত কারণে গত ১৯ জুলাই দুই দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ। তবে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কেটে যাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে রেলসেবা শুরু হয়েছে পুরোদমে। এখন আন্তর্জাতিক রুটে সেবা চালুর জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানালেও এখন পর্যন্ত সাড়া মেলেনি।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…