এইমাত্র
  • বৃষ্টিতে ভেসে যেতে পারে কানপুর টেস্টের প্রথম দিন!
  • শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হরিণী অমরাসুরিয়া
  • কৃষিকে কৃষকবান্ধব করতে হবে: উপদেষ্টা
  • ঢাকা জেলার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
  • দেশে স্বর্ণের দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ
  • নিষিদ্ধ জামাতুল আনসারের ৩২ জনের জামিন বাতিল
  • দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত শেখ হাসিনা
  • বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তায় ১ হাজার পুলিশ ও ১০০ ক্যামেরা
  • রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিন প্রস্তাব ড. ইউনূসের
  • তরুণদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা চান ড. ইউনূস
  • আজ বুধবার, ১০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    আইন-আদালত

    ভারতে ইলিশ রফতানিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

    ভারতে ইলিশ রফতানিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতি বাতিলসহ বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা ও নদীর ইলিশ মাছ রফতানির বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

    বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

    রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রফতানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে।

    রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ইলিশ মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ। এটি মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার সংযুক্ত। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি ও বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। মূলত বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ মাছ আমদানির কোনও প্রয়োজন নেই। ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে। এই ইলিশ মাছ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন পদ্মা নদীতে আসে, তখন ইলিশ মাছ পদ্মা নদীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে ওঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ‌ই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ যখন রান্না করা হয়, তখন এর সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

    রিটে আর‌ও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে যত ইলিশ ধরা পরে তার মাত্র ১০ শতাংশ পদ্মা নদীতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ পদ্মা নদীতে অত্যন্ত সীমিত পরিমাণ ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। যা বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা পূরণে একেবারে অপ্রতুল।

    রিটে আরও বলা হয়, ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভারতের ‘ফিস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ নেতাদের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তারা স্বীকার করেছেন যে, তারা বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ আমদানির করে থাকেন। প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ধরনের মাছ ভারতে রফতানি হয় এবং বিপুল পরিমাণ ইলিশ ভারতে চোরাচালান হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্ট ও রফতানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর মাছ সংগ্রহ ও ফ্রিজিং করে রাখেন এবং পরে সুযোগ অনুযায়ী ভারতে রফতানি ও পাচার করে থাকেন। এর ফলে বাংলাদেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার ইলিশ পায় না এবং সামান্য পরিমাণ পেলেও তার দাম অত্যন্ত বেশি, যা সাধারণ জনগণের পক্ষে কিনে খাওয়া সম্ভব নয়।

    ‘ভারতে রফতানি ও চোরাচালানের জন্য ব্যবসায়ীরা সারা বছর বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ ফ্রিজিং করে রাখেন। ফলে বাজারে ইলিশের দাম সবসময় বেশি থাকে এবং সাধারণ জনগণ এই ইলিশ মাছ কিনে খেতে পারে না। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইলিশ রফতানির ঘোষণার ফলে, বাংলাদেশে ইলিশ মাছের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

    ‘বাংলাদেশের রফতানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রফতানিযোগ্য কোনও পণ্য নয় । এই মাছ রফতানির করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। ইলিশ মাছ হলো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন বিষয়। এক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এককভাবে ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিতে পারে না। এটা এখতিয়ারবহির্ভূত কাজ। এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছেন এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন।

    তাই রিট আবেদনে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতি বাতিলসহ বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা ও নদীর ইলিশ মাছ রফতানির বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

    এসএফ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…