এইমাত্র
  • লেবাননে পৌঁছেছে তুরস্কের ৩০ টন মানবিক সহায়তা
  • বৃষ্টিতে ভেসে যেতে পারে কানপুর টেস্টের প্রথম দিন!
  • শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হরিণী অমরাসুরিয়া
  • কৃষিকে কৃষকবান্ধব করতে হবে: উপদেষ্টা
  • ঢাকা জেলার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
  • দেশে স্বর্ণের দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ
  • নিষিদ্ধ জামাতুল আনসারের ৩২ জনের জামিন বাতিল
  • দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত শেখ হাসিনা
  • বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তায় ১ হাজার পুলিশ ও ১০০ ক্যামেরা
  • রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিন প্রস্তাব ড. ইউনূসের
  • আজ বুধবার, ১০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    জাতীয়

    রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিন প্রস্তাব ড. ইউনূসের

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম

    রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিন প্রস্তাব ড. ইউনূসের

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম

    মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাবগুলো হলো-

    ১. জাতিসংঘের মহাসচিব যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে একটি সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আহবান করতে পারেন। সম্মেলনের সংকটের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা উচিত এবং উদ্ভাবনী ও অগ্রসর উপায়ে পরামর্শ দেওয়া উচিত।

    ২. ইউএন সিস্টেম ও বাংলাদেশ যৌথভাবে পরিচালিত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান, শক্তিশালী করা দরকার। স্লাইডিং ফান্ডিং পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রিসোর্স বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে আরও রাজনৈতিক চাপ দিতে হবে।

    ৩. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যামূলক অপরাধ মোকাবিলায় ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির ব্যবস্থাকে গুরুত্বসহকারে সমর্থন করা। আমি আইসিসিতে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে প্রসিকিউটর করিম খানের কাছ থেকে শুনানির অপেক্ষায় আছি। সামরিক জান্তা দ্বারা সংঘটিত অন্যায়ের প্রতিকার মিয়ানমার দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও নিরাপত্তার চাবিকাঠি।

    বৈঠকে মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত জুলি বিশপ, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্রান্ডি ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগণের মর্যাদা ও নিরাপত্তা এবং অধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি আমার সরকারের পূর্ণ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। আমরা এ সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের অপেক্ষায় আছি।

    সভায় ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে ১ দশমিক ২ মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। বিশ্ব এই বিষয়ে কম সচেতন যে, বাংলাদেশের শিবিরগুলোতে প্রতি বছর প্রায় ৩২ হাজার নবজাতক শিশু এই জনসংখ্যার সঙ্গে যুক্ত হয়। গত দুই মাসে আরও ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তা সত্ত্বেও একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশে সামাজিক-অর্থনৈতিক-পরিবেশগত ব্যয়ের ক্ষেত্রে এত বেশি খরচ হয়ে চলেছে। এগুলো আমাদের জন্য প্রথাগত ও অপ্রথাগত নিরাপত্তা ঝুঁকি। আমাদের নিজস্ব উন্নয়ন অনেকটাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। স্পষ্টতই বাংলাদেশ তার ধৈর্যসীমায় পৌঁছেছে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ যতই মানবিক দিক বা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে নিয়োজিত থাকুক, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান।

    এসএফ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…