এইমাত্র
  • তেলবাহী জাহাজে আগুন, নিহত ২
  • কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা
  • কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা
  • ডিসি নিয়োগ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল: শাস্তি পাচ্ছেন ১৭ উপসচিব
  • আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন বিশ্বকাপজয়ী গ্রিজমান
  • চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে কমিটি গঠন
  • বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে তারেক রহমানের অনুরোধ
  • বিভিন্ন দাবিতে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মানববন্ধন
  • পাহাড়ে সংঘাত: গুজব ছড়ানোর নেপথ্যে আওয়ামী সমর্থক ও ভারতীয়রা: ডিসমিসল্যাব
  • পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান হলো নতুন চাঁদ
  • আজ সোমবার, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    বকশীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি হয়ে লাপাত্তা চেয়ারম্যান

    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম

    বকশীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি হয়ে লাপাত্তা চেয়ারম্যান

    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম

    জামালপুরের বকশীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি হয়ে এখন লাপাত্তা মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারনে ব্যাহত হচ্ছে পরিষদের সকল স্বাভাবিক কার্যক্রম। ফলে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে একাধিকবার বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।

    সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে ইউএনও’র মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেম্বাররা।

    জানা গেছে, ক্ষমতাচুত্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ ও আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েন মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান। সরকার পতনের পর ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন এই চেয়ারম্যান। এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। পরে ছাত্রদের ৮ দফা দাবি লিখিত ভাবে মেনে নিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন। এরপর তার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে টানা কয়েকদিন আন্দোলন হয় তার বিরুদ্ধে। বিক্ষুব্ধ জনতা পরিষদে তালাও লাগিয়ে দেন। কোনভাবেই চেয়ারম্যানকে পরিষদে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন তারা। সময়ের সাথে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শিথিল হলেও ভয়ে এখন তিনি পরিষদে যান না। ফলে প্রতিদিন পরিষদে সেবার জন্য এসে ফিরে যান অনেকেই। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২২ জুলাই পুলিশের গুলিতে মারা যান বাবু ছালাম (২৬) নামে এক যুবক। সে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মিয়া পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। এই ঘটনায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বাবু ছালামের বাবা তোফাজ্জল হোসেন। মামলায় মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানসহ নামীয় ৪৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ১০০-১৫০ জনকে। মামলার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে একেবারে লাপাত্তা চেয়ারম্যান। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকছে। এতে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম দারুনভাবে ব্যহত হচ্ছে। ফলে নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষ। রোববার চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।

    স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, বেশিরভাগ সময় চেয়ারম্যান ঢাকায় থাকেন। মাঝে মধ্যে আসলেও সরকার পতনের পর তিনি আর পরিষদে আসেননি। চেয়ারম্যান না থাকায় জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, পরিচয় পত্র পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন কাজও।

    এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহীন মিয়া বলেন, সাধারণ মানুষ দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এভাবে পরিষদ চলতে পারে না। তাই চেয়ারম্যানের অপসারনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি।

    ইউপি সচিব মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, চেয়ারম্যান পরিষদে না আসলেও তিনি নিয়মিত অফিস করেন। চেয়ারম্যান তাকে বলেছেন কোন কাজে স্বাক্ষরের প্রয়োজন হলে ফোনে তাকে জানাতে। তিনি যেখানেই থাকেন তার লোক মারফত তিনি তা সমাধান করবেন।

    মেরুরচর ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু বলেন,সরকার পতনের পর থেকেই পরিষদে যেতে পারেন না চেয়ারম্যান। হত্যা মামলার আসামি হয়ে তিনি এখন পলাতক রয়েছেন। নাগরিক সনদ, জন্ম সনদ, ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন কাজে এলাকাবাসী দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

    নিয়মিত অফিসে না বসলেও কোন কাজেই ব্যাঘাত ঘটছে না এবং ইউপি সচিবকে সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া আছে জানিয়ে মুঠোফোনে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন,তার বিরুদ্ধে মামলা ষড়যন্ত্রমুলক। হয়রানি করতেই মামলায় আসামী করা হয়েছে তাকে। আইনীভাবেই মামলা মোকাবেলা করবেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কিছুদিন যাবত তিনি শারিরীক ভাবে অসুস্থ্য। ইউএনওকে মৌখিকভাবে অবহিত করে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন তিনি।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্নাত বলেন, চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মেম্বারদের দেয়া অভিযোগের কপি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিবেন।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…