দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বর বরিশালের গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু’র উপর হামলার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ২৪ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৪৫ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৭ অক্টোবর) গৌরনদী পৌরসভার উত্তর পালরদী এলাকার বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জয়নাল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র হারিছুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধা, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুন্সি, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি স্বপন হাওলাদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেঝাউল করিম টিটু, সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মোল্লা, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর সুজন হাওলাদার, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স রোনাল্ড বেপারী, সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাতুল শরীফ, আ’লীগ নেতা নয়ন শরীফ, (কালা) আল-আমিন, ওলামালীগের নেতা মাওলানা নুরুল হক, সালাম হাওলাদার, সৈয়দ দিদার, রাসেল ফকির, সাকিল ওরফে মোটা সাকিল, জসিম শরীফ, সুমন সরদার, কালু তালুকদার ওরফে হাতকাটা কালু, রায়হান মিয়া, রাসেল রাঢ়ী, মামুন মিয়া ও সাগর মোল্লা।
মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, মামলার আসামিরা ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বর বাদআছর সরকারি গৌরনদী কলেজ মসজিদে হামলা চালিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়। ওইদিন সন্ধ্যায় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জয়নাল হাওলাদার ও সাধারন সম্পাদক হারিছুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০টি মোটর সাইকেল যোগে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজারে এসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় আসামিরা রমেন শীলের সেলুনে ঢুকে সুমন মোল্লা নিজে বাদিকে (মিন্টু) লক্ষ্য করে গুলি করলে গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয়ে যায়। তখন সাগর মোল্লা ও রায়হান মিয়া দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে বাদিকে (মিন্টু) কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেস্টা চলছে। খুব শীঘ্রই আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এইচএ