যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস)-এ আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। গত জুন মাস থেকে মহাকাশে আটকে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে আসন্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পূর্বে পেরা সম্ভব হচ্ছে না।
তাই সেখানে বসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে চলেছেন তিনি। সেই ব্যবস্থা করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। সোমবার ( ৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ৫ জুন নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর ফ্লোরিডার ‘কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন’ থেকে বোয়িং-এর স্টারলাইনারে চড়ে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। তারা দুই মাসের-ও বেশি সময় ধরে মহাকাশে আটকে আছেন।
নভোচারীরা প্রাথমিকভাবে বোয়িং এর স্টারলাইনারে পৌঁছেছিলেন, যা আট দিনের মিশন হওয়ার কথা ছিল। তবে, বোয়িং ক্যাপসুলের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তাদের অবস্থান ৭৮ দিন বেড়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে, মহাকাশ থেকে ভোট দেয়ার পদ্ধতি রয়েছে। ইতিহাসের একটু পেছনে গেলে দেখা যাবে, ১৯৯৭ সাল থেকে মহাকাশে বসে আমেরিকার ভোটে অংশ নিতে পারেন সে দেশের নাগরিক (মহাকাশচারীরা)। সে বছর টেক্সাসের আইনসভা একটি বিল পাশ করেছিল, যাতে নাসার মহাকাশচারীরা মহাকাশে বসেই ভোট দিতে পারেন।
আমেরিকার মহাকাশচারী ডেভিড উলফ প্রথম মহাকাশে বসে ভোট দিয়েছিলেন। মির স্পেস স্টেশনে বসে ভোট দিয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালে শেষ বার আইএসএস থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন কেট রুবিনস।
কিভাবে মহাকাশে বসে ভোট দিতে পারবেন সুনীতা?
সুনীতা সশরীরে ভোটদান করতে পারবেন না জানিয়ে প্রথমে ‘ফেডেরাল পোস্ট কার্ড’ আবেদনের ফর্ম পূরণ করতে হবে সুনীতাকে। সেই ফর্ম পূরণ হলে আইএসএসের কম্পিউটার সিস্টেমে থাকা বৈদ্যুতিন ব্যালট পূরণ করতে হবে তাকে।
নাসার ‘স্পেস কমিউনিকেশন অ্যান্ড নেভিগেশন’ (এসসিএএন)-এর উপর নির্ভর করছে মহাকাশ থেকে ভোটদানের প্রক্রিয়া। সুনীতা ব্যালট পূরণ করার পর সেই তথ্য উপগ্রহ প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবাহিত হয়।
এরপর নিউ মেক্সিকোতে নাসার ‘হোয়াইট স্যান্ড টেস্ট ফেসিলিটি’-র অ্যান্টেনায় ধরা পড়বে বৈদ্যুতিন ব্যালটের সেই তথ্য। তার পর তা সুরক্ষিতভাবে পৌঁছে দেয়া হবে হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারে মিশন কন্ট্রোল সেন্টারের হাতে।
ওই বৈদ্যুতিন ব্যালট কিন্তু এনক্রিপটেড থাকবে। সুনীতা কাকে ভোট দিয়েছেন, কেউ জানতে পারবে না। হিউস্টন থেকে বৈদ্যুতিন ব্যালটটি পৌঁছবে নির্দিষ্ট কাউন্টির কর্মীর কাছে।
এবি