এইমাত্র
  • এক মাস পর মাঠে ফিরছেন মুস্তাফিজ
  • পাকিস্তানে সশস্ত্র হামলা, ১৬ সেনা নিহত
  • অন্তবর্তীকালীন সরকার ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির
  • জাহাজ থেকে বিদেশে পালানো ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • সাবেক সমাজকল্যাণ সচিব ইসমাইল ২ দিনের রিমান্ডে
  • রাখাইনে জান্তার সেনা সদর দপ্তর দখল করলো আরাকান আর্মি
  • বড় খেলোয়াড়দের কূটকৌশল পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল করে: অর্থ উপদেষ্টা
  • আমাদের রান্না ঘরে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না: জামায়াত আমীর
  • চাঁদাবাজের তালিকা হচ্ছে, দুই-তিনদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার শুরু: ডিএমপি কমিশনার
  • ‘পরিবহন খাতে আগে একদল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, এখন অন্যদল জড়িত’
  • আজ শনিবার, ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    খানসামায় সবজি বাজারে আগুন, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা

    ফারুক আহম্মেদ, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
    ফারুক আহম্মেদ, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৭ এএম

    খানসামায় সবজি বাজারে আগুন, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা

    ফারুক আহম্মেদ, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৭ এএম

    শীতের সবজির উৎপাদন কমে আসায় বাজারে সব ধরনের সবজির দামই দ্বিগুণ হয়েছে। উত্তরের জেলা দিনাজপুরে আগাম শীত পড়ে। এর এই জেলার খানসামা উপজেলা সবজি উৎপাদনে সেরা। এরপরও কমছে না শীতকালীন সবজির দাম।

    প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, মূলা ৪০ , পিয়াজ ১২০, করলা ৩০, আলু ৫৫ টাকা, পটল ৬০, পুঁইশাক ২০, , বেগুন (গোল) ৫০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৫০ টাকা, ফুলকপি কেজি থেকে ১২০ টাকা, শসা ৬০, ঢেড়শ ৬০ টাকা, কায়তা ৫০, বটবটি ৪০, প্রতিটি লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায় ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।

    উপজেলার পাকের হাটে সবজি কিনতে আসা ইউনুজ বলেন, 'আমাদের উপজেলায় এত সবজি আবাদ হয়, তারপরও কেন দাম কমে না। সবজি বাজার এলে মনে হয়, ভুল করে স্বর্ণের বাজারে এসেছি।'

    তিনি আরো বলেন, 'আমাদের ইনকাম বাড়েনি কিন্তু জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই চাই।'

    ফরিদুল নামে আরেক ক্রেতা বলেন, 'জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আমাদের ওপর যে কী প্রভাব পড়ে সেটি বলে বোঝানো যাবে না। মাছ মাংস তো দূরের কথা সবজি কিনতে টাকা শেষ।'

    খানসামা বাজারে সবজি কিনতে আসা মোজাফ্ফর হোনেন বলেন, 'কাঁচা বাজার ঢুকতেই ভয় লাগছে। বাজারে আগুন ধরেছে। এত দাম হলে আমরা মধ্যবিত্তরা কি করে কিনব। এতে দিশেহারা হয়ে গেছি। সংসারে টানাটানি শুরু হয়েছে। এখন আমাকে সংসার চালাতে হলে অতিরিক্ত কিছু করতে হবে, না হয় ধার করে চলতে হবে। অথবা কেনাকাটা কমাতে হবে। বাজারে এলে লিস্টের অনেক জিনিস না কিনেই ফিরে যেতে হচ্ছে।'

    বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নজরুল ইসলাম বলেন, 'বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমার বেতন বাড়েনি। বাজার করতে এসে সবজির দোকানগুলোতে দাম দর করছি। কিন্তু বিক্রেতারা যেভাবে দাম হাঁকাচ্ছে তাতে কেনার সামর্থ্য নেই। শীতের এই ভরা মৌসুমে এমন মূল্যবৃদ্ধি কিভাবে সম্ভব আমার বুঝে আসছে না।'

    উপজেলার পাকেরহাটের সবজি বিক্রেতা আবু রায়হান বলেন, 'আমরা প্রতিটি সবজিতে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ করি। এখন যেমন লাভ করছি কিছু দিন আগে যখন দাম কম ছিল তখনো একই হারে লাভ করে বিক্রি করেছি। কিন্তু পাইকারি বাজারে প্রতিটি সবজির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এ জন্য আমাদের কেউ বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।'

    তিনি আরো বলেন, 'এখনো পুরোপুরি শীতকালীন সবজি আসে নাই। আসলে দাম অনেকটাই কমে যাবে। আশা করছি আগামী মাস থেকে দাম কমবে।'

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…