ভোলার পৃথক চারটি স্থান থেকে চার শিশুসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যজনের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে ভোলা সদর উপজেলা ও চরফ্যাসন উপজেলা থেকে এ মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী ও চরফ্যাসন থানার ওসি মরদেহগুলো উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া চার শিশু হলো- হুজাইফা আক্তার (৩), সাইফুল আহমেদ (২), জুবায়দে (৬) ও আরিয়ান (৫)। এদের মধ্যে হুজাইফা আক্তার সদর উপজেলা ৩ নম্বর পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের শেখ ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে এবং সাইফুল আহমেদ ধনিয়া ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের মো. নুরনবী মিয়ার ছেলে। অপর দুই শিশু চরফ্যাসন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলীগাঁও এর বাসিন্দা ইউসুফের ছেলে জুবায়দে ও সুমনের ছেলে আরিয়ান। সম্পর্কে তারা প্রতিবেশী।
তাদের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, পরিবারের সবার অগোচরে খেলতে গিয়ে বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে।
গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহটি সাইফুল ইসলামের। তার বাড়ি একই উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। সকালে পুলিশ তার নিজ বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। সাইফুল বিবাহিত। তবে তার কোনো ছেলে-সন্তান নেই।
পুলিশ বলছে, ঠিক কি কারণে সাইফুল আত্মহত্যা করেছে, তা বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটির তদন্ত চলমান আছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এআই