এইমাত্র
  • এক মাস পর মাঠে ফিরছেন মুস্তাফিজ
  • পাকিস্তানে সশস্ত্র হামলা, ১৬ সেনা নিহত
  • অন্তবর্তীকালীন সরকার ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির
  • জাহাজ থেকে বিদেশে পালানো ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • সাবেক সমাজকল্যাণ সচিব ইসমাইল ২ দিনের রিমান্ডে
  • রাখাইনে জান্তার সেনা সদর দপ্তর দখল করলো আরাকান আর্মি
  • বড় খেলোয়াড়দের কূটকৌশল পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল করে: অর্থ উপদেষ্টা
  • আমাদের রান্না ঘরে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না: জামায়াত আমীর
  • চাঁদাবাজের তালিকা হচ্ছে, দুই-তিনদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার শুরু: ডিএমপি কমিশনার
  • ‘পরিবহন খাতে আগে একদল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, এখন অন্যদল জড়িত’
  • আজ শনিবার, ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    সাবেক সেতু মন্ত্রীর স্ত্রীর ড্রাইভারের ২ কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি

    মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪২ পিএম
    মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪২ পিএম

    সাবেক সেতু মন্ত্রীর স্ত্রীর ড্রাইভারের ২ কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি

    মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪২ পিএম

    মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক প্রাইভেটকার চালকের ২ কোটি টাকার ডুপ্লেক্স আলিশান বাড়ি নির্মাণ নিয়ে উঠেছে নানা গুঞ্জন। জনমনে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা সহ হাজারো প্রশ্ন।

    আলোচিত এই ড্রাইভারের নাম আতিকুর রহমান। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর ব্যক্তিগত গাড়ি চালক হিসেবে পরিচিত। মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে নিজ গ্রামে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি।

    এছাড়া ঢাকায় রয়েছে তার একাধিক ব্যবসা। প্রাইভেটকার চালক হয়ে আতিকের কয়েক কোটি টাকার সম্পদ অর্জনে তার অর্থের উৎস নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ওঠেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    স্থানীয় জনগন ও প্রতিবেশী জানান, সিংগাইর পৌর এলাকার কাশিমনগর মহল্লার মৃত লেহাজুদ্দিনের ছেলে আতিকুর রহমান (৩৮)। সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়ার ইতি টেনে ড্রাইভিং পেশা বেছে নেন। এলাকায় কর্মজীবন শুরু করেন বেবি ট্যাক্সি চালিয়ে। পরবর্তীতে ঢাকায় বড় ভাইয়ের ড্রাইভিং পেশায় চাকরির সুবাদে তার তদবিরে সুযোগ হয় সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগে গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করার। দায়িত্ব পান সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর প্রাইভেটকার চালক হিসেবে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আতিককে। তাদের আস্থা অর্জন করে বিভিন্নভাবে অবৈধভাবে কামিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। গ্রামের বাড়িতে নির্মাণ করেন দৃষ্টি নন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি। পাশাপাশি ঢাকায় শুরু করেন জেন্টস্ পার্লার ও রেস্টুরেন্টের ব্যবসা।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশপাশের একাধিক ব্যক্তি জানান,করোনাকালীন সময়ে সিংগাইর থেকে কোনো ইটভর্তি ট্রাক ঢাকায় ঢুকতে বিধি- নিষেধ থাকলেও আতিক মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে গাড়ি প্রতি ৫ হাজার করে টাকা নিয়ে গাড়ি প্রবেশ করার ব্যবস্থা করে দিতেন। এতে সিংগাইরের ভাটা মালিকরাও তার শরণাপন্ন হতেন। এভাবে আদায় করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা।

    তারা আরো বলেন, আতিক ১৮ হাজার টাকা বেতনে সামান্য গাড়ি চালকের চাকরি করে কিভাবে শহরে একাধিক ব্যবসা ও গ্রামে ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেন। বিষয়টি টক অব দ্যা সিংগাইরে পরিনত হয়েছে ।

    অভিযুক্ত প্রাইভেটকার চালক আতিকুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

    তবে আতিকের ছোট বোন রাবেয়া খাতুন বলেন, আমার ভাই ঢাকায় চাকরি ও ইটের ব্যবসা করেন। পাঁচ - ছয় বছর মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন । এখন ছোট খাটো সাহেবের গাড়ী চালায়। বেঁচে থাকাবস্থায় আমার মাকে দেখানোর জন্য বাড়িটি নির্মাণ করেছেন।

    আতিকের মা ছাহেলা খাতুন বলেন, আমার ছেলে সরকারি চাকরি করে, গাড়ী চালায়। এ ছাড়া ঢাকায় দুটি দোকান আছে পার্টনারে ব্যবসা করে। তিনি আরো বলেন, বাড়ি নির্মাণে ২ কোটি টাকার মতো ব্যয় তো হবেই। আমার ছেলেটা এখন চাপের মধ্যে আছে। বিভিন্ন লোকজন বাড়িতে এসে টাকা পয়সা দাবী করে বলেও জানান তিনি।

    সিংগাইর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউনুস বলেন, আমাদের কাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করা। তদন্তের এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে এ বিষয়ে দুদকে কেউ অভিযোগ করলে কমিশন তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন।

    এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক ( সুজন) এর মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অবৈধ সম্পদ হলে তা সরকারি কোষাগারে নেয়া দরকার।

    এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর ( পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজ উল্লাহ বলেন, কেউ দু্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ করে থাকলে তবে সেটা সরকারিভাবে তদন্ত হওয়া উচিত । এটা আমার দুদক চায়, পিপি হিসেবে আমিও চাই । আমাদের কাছে কোনো রেকর্ড না আসা পর্যন্ত আমলে নিতে পারি না।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…