গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় দুর্গাপূজার আনসার নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। দুর্গাপূজায় নিয়োগপ্রাপ্ত আনসারদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৬শত টাকা নেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন মণ্ডপে ডিউটিরত আনসার সদস্যরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, এ বছর কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩শত ২২ টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব মণ্ডপের নিরাপত্তার জন্য ২ হাজার ৬৩ জন আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ইউনিয়ন আনসার ও ভিডিপি কমান্ডারদের মাধ্যমে এসকল আনসার সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন।
নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিজন আনসারকে ৫দিনের ডিউটির জন্য ২৮শত ৫০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে।
এই টাকা প্রতিজন আনসারকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেওয়ার কথা রয়েছে। তাই প্রতি আনসারের কাছ থেকে অগ্রিম ৩থেকে ৬শত টাকা নেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে ডিউটিরত আনসারগণ জানিয়েছেন।
উপজেলার পশ্চিম বান্ধাবাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের ডিউটিরত আনসার বিলকিস বেগম ও নেহার বেগম বলেন, আমরা ডিউটির জন্য ৬শত টাকা করে দিয়েছে। বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের সহকারী কমান্ডার আব্দুল জলিল এই টাকা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আব্দুল জলিলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ভ্যান ভাড়া মাস্টাররোলসহ বিভিন্ন খরচবাবদ আমরা কিছু টাকা নিয়েছি। এই টাকা থেকে আবার কিছু টাকা অফিসের খরচবাবদও দিতে হয়েছে।
এদিকে হিরণ ইউনিয়নের পোলসার গ্রামের ৮টি পূজা মন্ডপ ঘুরে শুধু ঠাকুর বাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্ডপে ২জন আনসার সদস্যকে ডিউটি করতে দেখা গেছে। এই ৮টি মন্ডপে ৫২ জন আনসার সদস্য ডিউটি করার কথা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিরণ ইউনিয়নের সহকারী কমান্ডার কল্পনা বিশ্বাস তপুর মাধ্যমে এই ৫২জন আনসারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কল্পনা বিশ্বাস তপু ভুয়া নাম দিয়ে আনসার সদস্যদের ডিউটির টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা করছেন। এ বিষয়ে কল্পনা বিশ্বাস তপুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার রুশান খান বলেন, দূর্গাপূজায় ডিউটির জন্য আনসার সদস্যদের নিয়োগ দিতে কোন কমান্ডার বা সহকারী কমান্ডার টাকা নিয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর