যশোরের ভৈরব নদ, হরিহর ও কাজলা নদী দূষণমুক্ত করতে সোচ্চার হয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। ইতিমধ্যে যশোর শহর ও সদর উপজেলার বারীনগর, অভয়নগরের নওয়াপাড়া, মণিরামপুর ও বাঘারপাড়ায় নদ-নদী দুষণকারী ২৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে নদ-নদী দূষণকারী ৪ প্রতিষ্ঠান মালিকের কাছ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। পরিবেশ অধিদফতর যশোরের রিসার্স অফিসার সৌমেন মৈত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব নদী দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো যশোর ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অর্থোপেডিক হাসপাতাল, মডার্ণ হসপিটাল, একতা হসপিটাল, রেনেসা হসপিটাল, প্রিন্স ডায়গনস্টিক সেন্টার, আলট্রাভিশন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভৈরব হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, জেল রোডের পদ্মা নার্সিং হোম, রেলরোডের হোটেল ওরিয়ন ইন্টারন্যাশনাল, দড়াটানা হসপিটাল, বারীনগরের এস কে অটো রাইস মিল, নওয়াপাড়ার অভয়নগর নওয়াপাড়ার পালস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফয়সাল জিনেটি , আরোগ্য সদন হাসপাতাল, জারবান ফাইবার্স লিমিটিডে, এস এ এফ ইন্ডাঃ লিমিটিডেসহ ২২ প্রতিষ্ঠান ।
মণিরামপুরের হরিহর নদী দূষনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মণিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুরের বেপারী অটো রাইচ মিল, দি প্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ল্যাব সাদ মেডিকেল সার্ভিসেস। এছাড়া বাঘারপাড়ার কাজলা নদী দূষনকারী প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে নারিকেলবাড়িয়া ডক্টরস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
পরিবেশ অধিদফতর যশোরের রিসার্স অফিসার সৌমেন মৈত্র জানান, নদ-নদী দূষণের অভিযোগে ২৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৯ প্রতিষ্ঠান প্রথম নোটিশের জবাব না দেয়ায় তাদেরকে ফের নোটিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মণিরামপুর বিজয়রামপুরের বেপারী অটো রাইচ মিলকে ২ লাখ টাকা, নওয়াপাড়ার আরোগ্য সদন হাসপাতালকে ১০ হাজার, জারবান ফাইবার্স লিমিটিডকে ২০ হাজার টাকা ও বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া ডক্টরস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার মালিকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট শাখার মাধ্যমে এ জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।
পিএম