বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আফগানিস্তানকে ২৩৫ রানে থামিয়ে দিয়েছেন। ইনিংসের শুরুতেই কঠিন চাপের মুখে পড়া আফগানিস্তান, ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর নিজেদের বিপর্যয়ের মধ্যে ৭০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায়। তবে, সেখান থেকে দলের হয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন আফগানিস্তানের বর্তমান ও সাবেক দুই অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি ও মোহাম্মদ নবি। তাদের ১০৪ রানের জুটিতে দুইশ রানের কোটা পেরিয়ে আফগানিস্তান পৌঁছায় আড়াইশ রানের দোরগোড়ায়।
মোহাম্মদ নবি ৮৪ রান এবং হাশমতউল্লাহ শহীদি ৫২ রান করে আউট হন। বাংলাদেশ দলের পক্ষে ৪টি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
বুধবার শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে ২৩৫ রানে থামাতে সফল হয়। আফগানিস্তান টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলে শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণ উপহার দেয় বাংলাদেশ।
এদিন, তাসকিন আহমেদ প্রথম আঘাতটি আনেন। ১.৫ ওভারে আফগানিস্তানের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে আউট করেন তিনি। গুরবাজের ৭ বলের ইনিংসে মাত্র ৫ রান আসে। এরপর আফগানিস্তান ৩০ রানে ১ উইকেট হারানোর পর মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তাণ্ডব শুরু হয়। কাটার মাস্টার মাত্র ২ ওভার বোলিং করে ৫ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নেন।
তাসকিন ও মোস্তাফিজের দারুণ বোলিংয়ে আফগানিস্তান ১০ ওভারে ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়। এর পর গুলবাদিন নায়েব ও হাশমতউল্লাহ শহীদি কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হন। তারা ৬১ বল খেলে ৩৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলের সংগ্রহ কিছুটা উর্ধ্বে নিয়ে যান। তবে তাসকিনের বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে নায়েব আউট হন। তার বিদায়ের পর ২০ ওভারে আফগানিস্তান ৭১ রানে ৫ উইকেট হারায়।
এরপর, আফগানিস্তানের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হাশমতউল্লাহ শহীদি ও মোহাম্মদ নবি ষষ্ঠ উইকেটে ১২২ বল মোকাবেলা করে ১০৪ রানের জুটি গড়েন। এই জুটির মাধ্যমে দল দুইশ রানের কাছাকাছি পৌঁছায় এবং দু'জনই ফিফটি তুলে নেন।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে আবারও মোস্তাফিজুর রহমান শিকারী হয়ে ওঠেন। তিনি হাশমতউল্লাহ শহীদি (৫২) কে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন। ৪০.২ ওভারে আফগানিস্তান ১৭৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পরও ব্যাটিংয়ে ঝুঁকি নিয়েই লড়াই করেন নবি।
নবি এবং রশিদ খানের ছোট ছোট পার্টনারশিপের পর ৪৭.৩ ওভারে তাসকিনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে নবি ফিরে যান। তিনি ৭৯ বলে ৮৪ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ৪টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কাও।
নবি আউট হওয়ার পর আফগানিস্তান আর কোনো উল্লেখযোগ্য রান যোগ করতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ৪৯.৪ ওভারে তারা ২৩৫ রানে অলআউট হয়ে যায়।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান চারটি করে উইকেট নেন, যা দলকে বড় জয় আনার পথে সাহায্য করেছে।
এদিকে, আফগানিস্তানের ২৩৫ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসী, কারণ তাদের বোলিং আক্রমণ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী।