এইমাত্র
  • বিদায় ২০২৪, স্বাগত নতুন আশা-প্রত্যাশার ২০২৫
  • নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
  • সবার আগে নতুন বছরকে স্বাগত জানাল নিউজিল্যান্ড
  • মাঝরাতে আতশবাজির কারণে লাখো শিশু ভয়ে আঁতকে ওঠে: আজহারী
  • যুক্তরাষ্ট্রের নথি চুরি করেছে চীন
  • দাম কমল ডিজেল ও কেরোসিনের
  • সাঈদীকে হাসপাতালে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন শেখ হাসিনা
  • সচিবালয়ে কীভাবে আগুন লেগেছিল, জানাল তদন্ত কমিটি
  • অভিনেতা মারজুক রাসেল বললেন, 'জীবনে নারী সঙ্গীর প্রয়োজন নেই'
  • নতুন বছরে শাকিব-নিশোসহ যাদের সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে
  • আজ বুধবার, ১৭ পৌষ, ১৪৩১ | ১ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    আন্দোলনে হাতে হাত রাখতে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে

    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম

    আন্দোলনে হাতে হাত রাখতে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে

    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বরগুনায় অনেকেই অংশগ্রহণ করেছিলন তাদের মধ্যে অন্যতম ছাত্র সমন্বয়ক মীর রিজন মাহমুদ নিলয় ও ফৌজিয়া তাসনীন আনিকার অংশগ্রহণ করেছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই দুজনের সাথে দুজনের পরিচয় হাতে হাত রেখে একসাথে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল তারা। আন্দোলন থেকে প্রেম, তারা গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) একে অপরের সঙ্গী হিসেবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

    জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে যেতেই ভালো লাগা থেকে শুরু হয় তাদের প্রেম। এরপর নতুন বাংলাদেশ রচিত হওয়ার প্রায় ৫ মাস পর বিয়ের পিঁড়িতে বসে প্রেমকে পূর্ণতা দিলেন তারা।

    আনিকা ও নিলয় জানান, আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সবার সঙ্গে একত্রে থাকলেও গত ৫ আগস্ট থেকে দু’জনার ভালো লাগা শুরু হয়। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট ভালোবাসা প্রকাশের পর ২৫ আগস্ট দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানান। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে প্রণয়ে রূপ নেয় তাদের প্রেম।একদিকে আন্দোলনের ফলে অনেকেই তাদের স্বজন হারিয়েছেন, অপরদিকে নতুন একটি পরিবারও গঠন হয়েছে।

    ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন, আন্দোলনের সময় নিলয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ওই সময় আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হতো। তখন সাহস এবং সততা দেখে নিলয়ের ওপর আমি দুর্বল হই। যেখানে ওর আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে অনেকেই বর্তমান নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করেছে। এছাড়া অন্য একটি সংগঠন তাদের ব্যানারে নিলয়কে আন্দোলনে অংশ নিতে বললেও সে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই আন্দোলনে যুক্ত হয়। ওর ওপর দুর্বল হওয়ার মূল কারণই হচ্ছে এমন সততা ও সাহসীকতা। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে আমার প্রতি আলাদা কেয়ার দেখে ওর প্রতি দুর্বলতা আরও বেড়ে যায়। পরে ৭ আগস্ট আমাকে প্রেমের প্রস্তাব না দিয়ে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন নিলয়।

    ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আনিকা বলেন, আমরা এখনও শিক্ষার্থী। আমাদের প্রথম পরিকল্পনা হচ্ছে আমাদের একত্রে সফল হতে হবে। আমরা দুজনে একত্রিত থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।

    এ বিষয়ে মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, আনিকার সঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমেই পরিচয় হয়। এমনিতে ওকে আগে দূর থেকে চিনলেও কখনও কথা হয়নি। আন্দোলন চলাকালে সবার সঙ্গেই আমার কথা হতো। সবাইকে সাহস দিয়ে আন্দোলন বেগবান করার জন্য বলতাম। এই কারণেই ওর সঙ্গে আমার কথা বলা শুরু হয়। তবে সেই সময়ে আমাদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। গত ৫ আগস্ট যখন একত্রে বিজয় মিছিলে আনন্দ উল্লাস করছিলাম তখন আমাদের মধ্যে ভালো লাগা শুরু হয়।

    মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বরগুনা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আমতলারপাড় এলাকার মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেন নিপুর ছেলে। নিলয় বর্তমানে আনোয়ার খান মর্ডান ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার মনোয়ারুল ইসলাম শামীমের মেয়ে ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা। সে বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…