চার বছর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে নিঃশঙ্কচিত্তে হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন খুব কমসংখ্যক মানুষই ভাবতে পেরেছিলেন, তিনি আবারও সদম্ভে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির হাল ধরতে পারবেন।
সেই অসম্ভব কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প। মঙ্গলবারের নির্বাচনে তাঁর ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। তিনি বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন।
জয়ের আগে প্রচারের সময় নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে ছিল অর্থনীতি, অভিবাসন ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসংক্রান্ত বিষয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জয়ের পর স্থানীয় সময় বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি একটি সাধারণ লক্ষ্য নিয়ে দেশ পরিচালনা করব। সেটি হলো—যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করব।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সাতটি কাজ করতে চান ট্রাম্প। এর মধ্যে একটি কাজ হচ্ছে ক্ষমতা গ্রহণ করার মাত্র দুই সেকেন্ডের মধ্যে এক ব্যক্তিকে চাকরিচ্যুত করা।
সেই ব্যক্তির নাম জ্যাক স্মিথ। তিনি একজন মার্কিন কৌঁসুলি। তাকেই চাকরিচ্যুত করতে চান ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। কারণ, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলার তদন্ত করছেন স্মিথ। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গায় উসকানি দেওয়া এবং সরকারি গোপন নথি সরানোর অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওই মামলা দুটি করা হয়েছিল। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
ট্রাম্প একসময় বলেছিলেন, হোয়াইট হাউসে বসার ‘দুই সেকেন্ডের মধ্যে’ জ্যাক স্মিথকে চাকরিচ্যুত করবেন। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় ফিরেছেন ট্রাম্প। তা-ও আবার ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ ঘাড়ে নিয়েই। এখন দেখার বিষয় তিনি স্মিথের সঙ্গে কী করেন।