ছাব্বিশ বছর আগে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কেনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রেস অফিসের একমাত্র প্রিন্টিং মেশিন। পাঁচ বছর ধরে অকেজো হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে ক্ষতির বৃত্তে। এতে প্রিন্টিং সংক্রান্ত সকল কাজ বাধ্য হয়ে চলে যাচ্ছে বাহিরের প্রতিষ্ঠানের হাতে। ফলশ্রুতিতে নিরাপত্তা শঙ্কাসহ বার্ষিক প্রায় দশলক্ষ টাকার ক্ষতি নিরবে সয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে কেনা হয়েছিল মহামূল্যবান এই মেশিনটি। এরপর থেকে ক্যাম্পাসকে সার্ভিস দেওয়া এই সাদা হাতি করোনাকালীল সময়ে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অকেজো হয়ে পরে যা পরবর্তীতে আর মেরামতের মাধ্যমে সচল করা হয়নি। মেশিন নষ্ট হওয়ার পর থেকে প্রেস অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম খাতা, প্রশ্ন, ক্যালেন্ডার, ডায়েরি, বিবিধ ও বিল রশিদ প্রিন্ট করা হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে। এছাড়া প্রেস অফিসের কর্মচারীদের বিনা কাজেই বেতন-ভাতা প্রদান করছে প্রশাসন।
প্রেস অফিসের তথ্য মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিস, সান্ধ্যকালীন কোর্স, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, পরিবহন অফিস, একাডেমিক শাখাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রিন্টিং কার্যক্রম এই প্রেস অফিসের আওতাভুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার বিল রশিদ, বালাম শীট, প্রশ্ন, খাতা, ক্যালেন্ডার, ডায়েরি সহ নানা কাজে প্রেস অফিসের মাধ্যমে মাসিক ১ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৭ লক্ষ টাকার কাজ হয়ে থাকে। যার সবই হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
আরও জানা যায়, মেশিনটি বিদেশী ও দামী হওয়ায় মেরামত করতেও গুণতে হবে অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। তবে মেরামতের জন্য অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সময় নেয়া হলে পরবর্তীতে তা আর মেরামত করানো হয়নি।
এ বিষয়ে প্রেস প্রশাসক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মফিজুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে এই মেশিন নষ্ট হয়। তৎকালীন প্রেস প্রশাসকও চেষ্টা করেছিলে মেশিন ঠিক করার। পরে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা ঠিক করা হয়নি। আমরা প্রেস অফিসের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ স্যারের সাথে সাক্ষাৎ করে সমস্যার বিষয়ে জানিয়েছি। আশা করি সকল সমস্যা দ্রুতই সমাধান হবে।
এআই