সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরো ২ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের গাড়াদহ পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো সিএনজি চালক শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের বনগ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে মো. সুজন (২৮), অপর নিহত উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের লোহিন্দাকান্দি গ্রামের মানিক মিয়া চাঁদের ছেলে সিএনজি যাত্রী মো. বাহাদুর আলী (২৭)। বাহাদুর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এডিসি (শিক্ষা) এর গোপনীয় সহকারী, বাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জ কর্মস্থলে যাচ্ছিলো সে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিএনজি টি উল্লাপাড়ার দিকে যাওয়ার সময় বালুবাহী ড্রাম ট্রাকটি দ্রুত গতিতে এসে সিএনজি অটোরিকশাকে সামনে থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। পরে সিএনজিটিকে মহাসড়কের পাশে গাছের সাথে চাপা দেয়, এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালক ও এক যাত্রী প্রাণ হারায়।
খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়, পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান ও উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত।
পরে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মাসুদুর ফাহিম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনগুলো জব্দ করে। তবে ড্রাম ট্রাকটির চালক দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গারাদহ ইউনিয়নে প্রায় ১৫ থেকে ১৮টি ইটভাটায় মাটি সরবরাহের কাজে শতাধিক ড্রাম ট্রাক চলাচল করলেও কোন ট্রাকের লাইসেন্স নেই আবার এসব গাড়ির চালকেরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এসকল কারণে এখানে মাঝেমধ্যেই এসকল ড্রাম ট্রাকের সাথে বিভিন্ন যানবাহনের দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাওয়া নিয়মিত বিষয়। এদের কাছে মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই।
দুর্ঘটনায় ২জনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয়রা মহাসড়কে যানবাহনের বিষয়ে আইনগতভাবে মনিটরিং ও বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এমআর